২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে তুরস্কের উপর

নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে তুরস্কের উপর - ছবি সংগৃহীত

ভূমধ্যসাগর বিতর্কে নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে তুরস্কের ওপর। এ বিষয়ে আগামী ১০ ডিসেম্বর ইউরোপীয় ইউনিয়নে বসতে পারে বৈঠক। ইউরোপের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এ বৈঠকে তুরস্কের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে।

ভূমধ্যসাগরের একটি অংশে মিলেছিল খনিজ তেলের সন্ধান। মূলত ওই তেলের খনি নিয়েই গত অগাস্ট মাস থেকে বিতর্ক চলছিল গ্রিস ও তুরস্কের মধ্যে। কীভাবে ওই তেল উত্তোলন করা সম্ভব তা দেখার জন্য জাহাজ পাঠিয়েছিল তুরস্ক। গ্রিস খনিজ তেলের সন্ধান পাওয়া এলাকাটি তাদের দাবি করে তুরস্কের জাহাজ দ্রুত সরিয়ে নিতে বলে। তবে গত চার মাসে কেবল একবারই ভূমধ্যসাগরের ওই এলাকা থেকে তুরস্ক তাদের জাহাজ সরিয়েছিল। পরে আবার তারা ওই এলাকায় তাদের জাহাজ পাঠায়। এ বিষয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন যে, তেল উত্তোলনের পরীক্ষা অব্যাহত থাকবে। কারো নিষেধ তুরস্ক মানবে না, কারণ ওই এলাকা গ্রিসের নয়।

এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন দীর্ঘ দিন ধরেই ওই বিতর্কে অংশগ্রহণ করে আসছে। ওই সময় গ্রিসের পাশাপাশি তারাও জাহাজ সরিয়ে নিতে তুরস্ককে অনুরোধ করে আসছিল। কিন্তু তুরস্ক তাতে কর্ণপাত করেনি। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন চেষ্টা করেছিল গ্রিস, তুরস্ক ও সাইপ্রসকে একসাথে বসিয়ে বৈঠক করার, কিন্তু ওই চেষ্টা সফল হয়নি। এ পরিস্থিতিতেই সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে তুরস্কের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়।

তবে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস বলেন, তুরস্কের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। আগামী ১০ ডিসেম্বর এ বিষয়ে আবারো বৈঠকে বসবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। ওই বৈঠকে যেকোনো সিদ্ধান্ত হতে পারে। তবে ফ্রান্স চাইছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তুরস্কের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করুক।

এ দিকে নিষেধাজ্ঞা জারি হলে তুরস্কের সাথে অস্ত্র ব্যবসা বন্ধ হতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের। নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে তেল ও খনিজের উপরেও।

সোমবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, গ্রিসের সাথে বৈঠকে বসতে তিনি রাজি। ইউরোপীয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিষটিকে অন্ধের মতো দেখছে।
বিতর্কটি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন যে আচরণ করছে তা আশাব্যঞ্জক নয়।

সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement