তুরস্কে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থান : পাইলটের ৬৪৮ বছরের জেল

তুরস্কে ২০১৬ সালে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে জড়িত এক পাইলটকে ৬৪৮ বছরের সাজা দিয়েছে দেশটির আদালত। সামরিক বাহিনীর সাবেক এই পাইলটকে এরদোগান সরকারের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানে ভূমিকা রাখার প্রমাণ মিলেছে।

সম্প্রতি এ রায় দেয়া হয়েছে বলে রোববার জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক ওয়েবসাইট মিডল ইস্ট মনিটর।

ওয়েবসাইটটির খবরে প্রকাশ, চার বছর আগে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের প্রয়াসের জন্য সদর দফতরের দায়িত্ব পালনকারী আকিনকি এয়ারবেসের অফিসারদের সম্প্রতি বিচারের মুখোমুখি করা হয়। রায়ে বেশ কজন বরখাস্ত সামরিক কর্মকর্তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সাবেক পাইলট লেফটেন্যান্ট মোস্তফা ওজকান বেশ কয়েকজন বেসামরিক মানুষকে অভ্যুত্থানে উস্কে দেন।

আদালতের রায়ে আরো বলা হয়েছে, মোস্তফা ওসকান অভ্যুত্থানে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন।

আদালত জানান, ওসকান তুরস্কের সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। অভ্যুত্থানের সময় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান নিয়ে রাজধানী আঙ্কারার পুলিশ সদর দফতরের ওপর দ্রুতগতিতে টহল দেন পাইলট ওসকান। একপর্যায়ে বিমান থেকে বোমা ছোড়েন তিনি। এতে দুইজন নিহত এবং আহত হন কমপক্ষে ৪০ জন। পরে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ওই রাতে অভ্যুত্থানের ঘটনার সম্পর্কে কিছুই জানতেন না তিনি।

২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের অনুপস্থিতিতে সামরিক অভ্যুত্থানের প্রয়াস চালায় বেশ কিছু বিপথগামী সামরিক কর্মকর্তা। কিন্তু এরদোগানের ডাকে রাস্তায় নেমে আসেন জনতা। অভ্যুত্থান প্রতিহত করেন তারা। এই ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লা গুলেন জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।

বিদ্রোহের সাথে যারা জড়িত ছিলেন তাদের পর্যায়ক্রমে শাস্তির আওতায় আনছে দেশটির সরকার।