ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্কে নিহতের সংখ্যা ছাড়াল অর্ধশত
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০১ নভেম্বর ২০২০, ১৬:৪৯, আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২০, ২১:২২
তুরস্কে গত শুক্রবার আঘাত হানা শক্তিশালী এক ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫১ জনে দাঁড়িয়েছে। এই ভূমিকম্পে গ্রিসেও দুইজনের মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে।
তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াদ ওকতাই রোববার সকালে জানান, এখন পর্যন্ত ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় ৯০০ জন আহত হয়েছেন। উদ্ধারকারীরা ধ্বসে যাওয়া স্থাপনাগুলোতে উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে।
তুর্কি পরিবেশমন্ত্রী মুরাদ কুরুম বলেছেন, পাঁচ হাজারের বেশি উদ্ধারকর্মী কাজ করছেন। এ পর্যন্ত প্রায় ১০০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। গৃহহীনদের জন্যে ইতোমধ্যে ৩০০ তাবু স্থাপন করা হয়েছে।
শনিবার রাতে প্রেসিডেন্টে এরদোগান বলেন, ধ্বসে যাওয়া স্থাপনার ভগ্নাংশ সরিয়ে সেসব স্থানে দ্রুতই ভবন নির্মাণ শুরু করা হবে এবং যাদের বাসা-বাড়ি গুড়িয়ে গেছে সেগুলো দ্রুতই তৈরি করে দেয়া হবে।
এদিকে গতকাল শনিবার ইজমিরের একটি ভবনের নীচে প্রায় ১৮ ঘন্টা আটকে থাকার পরে শনিবার এক মা ও তার তিন সন্তানকে ধ্বসে যাওয়া বিল্ডিংয়ের ভেতর থেকে নিরাপদে বের করা হয়েছে। উদ্ধারকারী দল ঐ নারীর চতুর্থ সন্তানকে সেখান থেকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
ইজমিরের মেয়র বলেছেন যে আরো ১৮০ জনের মতো নিখোঁজ রয়েছে যাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ভূমিকম্পে অন্তত ২০টি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছ বলে জানিয়েছেন তিনি।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান এক টেলিভিশন বক্তব্যে জানান, ৮৮৫ জন আহত হয়েছেন যাদের মধ্যে ১৫ জনের অবস্থা গুরুতর।
ভূমিকম্পের পর থেকে অনবরত আফটার শক হওয়ার কারণে উদ্ধার কার্যক্রমে বিলম্ব হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৫২০ আফটার শক হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে ভূমিকম্পের পর তুরস্ক ও গ্রিস পরস্পরের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে বার্তা আদান প্রদান করেছে। বিগত বেশ কয়েক দিন ধরেই পূর্ব ভূমধ্যসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানকে কেন্দ্র করে এই প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কে চরম উত্তেজনা বিরাজ করেছিল।
এসময় এরদোগান ও গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোটাকিস পরস্পারিক সংহতি বার্তা আদান প্রদান করেন।
গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী এক টুইট বার্তায় বলেন, আমাদের মধ্যকার যতই বিভেদ থাকুক, এই কঠিন মুহুর্তে আমাদের জনগণের একসাথে থাকা প্রয়োজন।
এরদোগানও টুইট বার্তায় জানান, তুরস্কও সব সময় গ্রিসের বিপদে সাহায্য করতে প্রস্তুত রয়েছে। এই দুই প্রতিবেশী তাদের কঠিন সময়ে যে পারস্পারিক সহমর্মিতা জানিয়ে তা জীবনের অনেক কিছুর চেয়ে মূল্যবান।
১৯৯৯ সালে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পরেও দুই দেশের মধ্যে উষ্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল।
সূত্র : ডেইলি সাবাহ ও রয়টার্স
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা