২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

আরব বিশ্বের সাথে প্রতারণা করেছে ইসরাইল : তুরস্ক

সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ
- সংগৃহীত

ইসরাইল আরব বিশ্বের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিকীরণের নামে নিছক প্রতারণা করেছে বলে জানিয়েছে তুরস্ক। এ ছাড়া ফিলিস্তিনিদের দখলকৃত পশ্চিম তীরে নতুন করে অবৈধ ইসরাইলি বসতির অনুমোদন দেয়ায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে তুরস্ক। গতকাল রোববার তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ নিন্দা জানানো হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু পশ্চিম তীরে অতিরিক্ত বসতি নির্মাণে অনুমোদন দিয়েছেন, এতে নতুন করে প্রমাণিত হয় এই দেশটির দখলদারিত্বের আদর্শ; যা আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসঙ্ঘের রেজ্যুলেশনের প্রতি অসম্মান।

‘এতে প্রমাণিত হয় ইসরাইল তার সংযুক্তকরণ নীতি পরিত্যাগ করেনি। সম্প্রতি দাবি করা হয়েছিল, ইসরাইলের সাথে কয়েকটি দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের চুক্তি বাস্তবায়নের ফলে সংযুক্তকরণ নীতি স্থগিত থাকবে, তবে এটি পরিষ্কারভাবে দেখা যাচ্ছে নিছক প্রতারণা।’ ইসরাইলের এমন অবৈধ পদক্ষেপ তুরস্ক সমর্থন করে না। ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার ও তাদের স্বাধীনতার ওপর ইসরাইলের আক্রমণ থেকে পরিত্রাণের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানায় তুরস্ক।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তুরস্ক ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে সবসময়ের জন্য রয়েছে এবং তাদের সমর্থন করছে।
সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ কয়েকটি আরব দেশের সাথে ইসরাইলের সম্পর্ক স্বাভাবিকীরণের চুক্তি হয়। এতে মধ্যাস্থতা করে ট্রাম্প প্রশাসন। সেই সময়ে হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ফিলিস্তিনের বিষয়ে ইসরাইল তার সংযুক্তকরণ নীতি স্থগিত করেছে।

সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইন ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের চুক্তি করেছে। যদিও সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ ইসরাইলের সাথে স্বাভাবিক সম্পর্ক গড়ার আগে পূর্ব জেরুসালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা চান।

ইসরাইল-ফিলিস্তিন সঙ্ঘাত সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে চলমান হলেও এর সমাধানে আজ পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি বললেই চলে বরং দিনে দিনে বেড়েছে ইসরাইল কর্তৃক দখলকৃত ভূমির পরিমাণ, বেড়েছে ফিলিস্তিনিদের ওপর অত্যাচার-নিপীড়ন, হয়েছেন বাস্তুহারা। এই সঙ্ঘাত সমাধানে বিভিন্ন সময়ে জাতিসঙ্ঘ, আরব রাষ্ট্রগুলো কিংবা যুক্তরাষ্ট্র সমাধানের চেষ্টা করলেও সেগুলো আলোর মুখ দেখেনি। সেই প্রচেষ্টার সর্বশেষ সংযোজন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রণীত তথাকথিত ডিল অব দ্য সেঞ্চুরি।

তবে আজ পর্যন্ত এই সঙ্ঘাতের সমাধান কল্পে যতগুলো প্রস্তাবনা এসেছে তন্মধ্যে সবচাইতে গ্রহণযোগ্য এবং বাস্তবসম্মত ছিল আরব পিস ইনিশিয়েটিভ তথা আরব শান্তি উদ্যোগ। ১৯৮১ সালে সৌদি আরবের তৎকালীন ক্রাউন প্রিন্স ফাহাদ ইসরাইল-ফিলিস্তিন সঙ্ঘাত নিরসনে একটি প্রস্তাবনা প্রকাশ করেছিলেন। যেখানে বলা হয়েছিল, ইসরাইল ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে দখলকৃত আরব ভূমি থেকে পুরোপুরি চলে যাবে, বিনিময়ে আরব রাষ্ট্রগুলো ইসরাইলকে ‘রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি’ দেবে। এটি ছিল আরব শিবির থেকে উত্থাপিত প্রথম কোনো পস্তাবনা। কিন্তু রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে এবং মধ্যপ্রাচ্যে ইরাক-ইরান যুদ্ধের (১৯৮০-৮৮) ডামাডোলে সেই প্রস্তাবনা হারিয়ে যায়। ইয়েনি শাফাক


আরো সংবাদ



premium cement