২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুমকি এরদোগানের

- ছবি : সংগৃহীত

নাগার্নো-কারাবাখ আর্মেনিয়ার দখল থেকে মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আজারবাইজানের জন্য লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে  ঘোষণা দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান।

শুক্রবার কোনিয়া প্রদেশের একটি হাসপাতাল উদ্বোধনের সময় এ ঘোষণা দেন।

দক্ষিণ ককেশাসে আর্মেনিয়া-আজারবাইজান নাগার্নো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সংঘর্ষে লিপ্ত। এরই ধারাবাহিকতায় কয়েক দিন ধরেই দুই দেশের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ শুরু হয়েছে। এরদোগান আজারবাইজানকে পূর্ণ সহযোগিতার ঘোষণা দিয়েছেন।

গত রোববার আর্মেনিয়ান বাহিনী আজারবাইজানের সামরিক ও বেসামরিক অবস্থানকে লক্ষ্য করে হামলা চালালে প্রথম সীমান্তে সংঘর্ষ শুরু হয়। এর জেরে কয়েকদিন ধরেই ব্যাপক যুদ্ধে জড়িয়েছে দুই দেশ।

তিনি আরো বলেন,‘আমরা যেকোনো মূল্যে সর্বশক্তি দিয়ে আজারবাইজানি ভাইদের প্রতি হৃদয় থেকে আমাদের সমর্থন অব্যাহত রাখবো। আমরা ‘‘এক জাতি, দুই রাষ্ট্র’’ নীতির ওপর ভিত্তি করে আজারবাইজানের প্রতি আমাদের সমর্থন অব্যাহত রাখবো।’

প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, আর্মেনীয়া কর্তৃক কারাবাখ দখলের মাধ্যমে এ অঞ্চলে যে সংকট শুরু হয়েছিল অবশ্যই তার অবসান ঘটাতে হবে।

তিনি আরো বলেন, আর্মেনীয়াকে অবশ্যই অবিলম্বে আজারবাইজানের ভূখণ্ড ছাড়তে হবে। একমাত্র এর মাধ্যমেই এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।

১৯৮০-এর দশকের শেষদিকে কারাবাখ অঞ্চলে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মুহূর্তে সংঘর্ষ চূড়ান্ত আকার ধারণ করে। ১৯৯৪ সালে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত এ সংঘর্ষে ৩০ হাজার মানুষ নিহত হয়। কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজানের ভূখণ্ড হলেও ইয়েরেভান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করছে আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। মূলত এ নিয়েই সংঘাতের সূত্রপাত।

নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে দীর্ঘ বিবাদের জেরে ২০২০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর কার্যত যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে দুই দেশ। এতে এখন পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ উভয় পক্ষের শতাধিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। নিহতদের বেশিরভাগই আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে জানা গেছে। ইয়েনি শাফাক


আরো সংবাদ



premium cement