তুরস্ক সীমান্তে গ্রিসের সামরিক উপস্থিতি
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১১:০৩
তুরস্ক-গ্রিস উত্তেজনার মধ্যেই সীমান্তে সামরিক উপস্থিতি জোরদার করেছে গ্রিস। যদিও তুরস্ক থেকে ইউরোপমুখী অভিবাসীদের ঢল ঠেকাতেই এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে গ্রিস।
গ্রিসের অভিবাসন প্রতিমন্ত্রী জর্গোস কাউমাউসাকোস প্রকাশ্যেই তার দেশের প্রত্যাশা অনুযায়ী, তুরস্কের ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে এথেন্স।
জর্গোস কাউমাউসাকোস বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা এড়াতে তুরস্ক চাপ প্রয়োগের কৌশল হিসেবে অভিবাসীদের ব্যবহার করতে পারে। আগামী ২৪ ও ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউরোপীয় কাউন্সিলের বৈঠকের শীর্ষ এজেন্ডায় রয়েছে তুরস্ক ও গ্রিসের মধ্যকার বিবাদের বিষয়টি। ফ্রান্স ও গ্রিসের মতো দেশগুলো তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আরোপের জন্য সংস্থাটির ওপর চাপ প্রয়োগ করছে।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের ভয়াবহতায় তুরস্কে আশ্রয় নিয়েছে লাখ লাখ শরণার্থী। এই শরণার্থীদের অনেকেই তুর্কি-গ্রিস সীমান্ত দিয়ে ইউরোপের অন্যান্য দেশে প্রবেশের চেষ্টা করে থাকে। ইইউ-এর সাথে আঙ্কারার সমঝোতা অনুযায়ী শরণার্থীদের ইউরোপে প্রবেশ ঠেকানোর অঙ্গীকার করেছিল তুরস্ক।
তবে গ্রিস-তুর্কি বিবাদে ইউরোপীয় ইউনিয়ন মোটা দাগে গ্রিসের পক্ষ নেয়ায় ওই পরিস্থিতি তুরস্কও অবস্থান পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। ফলে ইউরোপমুখী শরণার্থীদের ঢল সামাল দিতে সীমান্তে সামরিক উপস্থিতি জোরদার করেছে গ্রিস।
এ দিকে গ্রিসের সাথে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই নর্দার্ন সাইপ্রাসে সামরিক মহড়া শুরু করেছে তুরস্ক। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে তাই এটি বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে। রোববার থেকে শুরু হওয়া এ মহড়া চলবে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত।
শনিবারই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ‘গ্রিস হয় রাজনীতি ও কূটনীতির ভাষা বুঝবে, না হয় তাদের বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতার মুখে পড়তে হবে। তুরস্কের জনগণ যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রয়েছে।’ আলজাজিরা ও ডয়চে ভেলে
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা