উত্তর সাইপ্রাসে তুরস্কের সামরিক মহড়া শুরু

উত্তর সাইপ্রাসে বার্ষিক সামরিক মহড়া শুরু করল তুরস্ক। অন্যদিকে ফ্রান্স জানিয়েছে, ইইউ কাউন্সিলের বৈঠকে তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

রোববার শুরু হয়েছে উত্তর সাইপ্রাসে তুরস্কের বার্ষিক সামরিক মহড়া। সম্প্রতি গ্রিসের সাথে তুরস্কের বিরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এই মহড়া বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে। শনিবারই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেছেন, ‘গ্রিস হয় রাজনীতি ও কূটনীতির ভাষা বুঝবে, না হয় তাদের মাটিতে বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতার মুখে পড়তে হবে। তুরস্কের জনগণ সব ধরনের সম্ভাবনার জন্য তৈরি।’

আর তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘আমাদের এবং টার্কিশ রিপাবলিক অফ নর্দার্ন সাইপ্রাসের সামরিক অগ্রাধিকার একই।’ তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও জানিয়েছে, মহড়া সাফল্যের সাথে চলছে।

এই পরিস্থিতিতে রোববার এরদোগান ফোন করেছিলেন ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্টকে। তুরস্কের প্রেসিডেন্টের দাবি ইইউ যেন নিরপেক্ষ মনোভাব দেখায়। আগামী ২৪-২৫ সেপ্টেম্বর ইইউ কাউন্সিলের বৈঠক। ফ্রান্স জানিয়ে দিয়েছে, সেখানে তুরস্কের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

ফ্রান্স ইতোমধ্যেই গ্রিসের সমর্থনে সেখানে যুদ্ধ বিমান পাঠিয়ে দিয়েছে। এই অবস্থায় এরদোগান বলেছেন, গ্রিসের সাথে আঞ্চলিক বিরোধ নিয়ে ইইউ যেন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে। অন্যদিকে ইইউর প্রেসিডেন্টের অনুরোধ, এরেদোগান যেন এমন কিছু না করেন, যার ফলে এলাকায় উত্তেজনা বাড়ে। বৈঠকে সব প্রস্তাব নিয়েই আলোচনা হবে বলে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন।

এরদোগান রোববার অভিযোগ করেছেন, ইউরোপের রাজনীতিবিদরা যে ধরনের উস্কানিমূলক বিবৃতি দিচ্ছেন, তা দেখা মনে হচ্ছে, তারা সমস্যার সমাধান চান না।

পূর্ব ভূমধ্যসাগরে অশোধিত তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস তোলা নিয়ে গ্রিস ও তুরস্কের মধ্যে বিরোধ ক্রমশ জটিল আকার নিচ্ছে। তুরস্ক গতমাসে তেল ও গ্যাস খোঁজার জন্য একটি নৌযান গ্রিস ও সাইপ্রাসের মধ্যবর্তী এলাকায় পাঠিয়ে দিয়েছে। তুরস্কের দাবি, ওই এলাকা তাদের পানিসীমার ভিতর পড়ছে। এ নিয়ে প্রবল আপত্তি গ্রিসের। ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল এর আগে জানিয়েছিলেন, দুই দেশ আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে। কিন্তু তারপর গ্রিস জানায়, তারা আলোচনায় রাজি হয়নি। তুরস্ক অবশ্য আলোচনায় রাজি। সূত্র : ডয়চে ভেলে