২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

কাশ্মির নিয়ে তুরস্ক-পাকিস্তানের যৌথ গান সরিয়ে ফেলল ইউটিউব

- ছবি : সংগৃহীত

একজন তুর্কি গীতিকার যিনি সম্প্রতি কাশ্মির নিয়ে একটি গান লিখেন, ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব ভিত্তিহীন দাবিতে তার গানটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরিয়ে ফেলে।

‘চীর বসন্ত’ (Eternal Spring) শিরোনামের গানটি উর্দু ও তুর্কি ভাষায় কাশ্মিরের শহিদ দিবস ১৩ জুলাই ইউটিউবে প্রকাশ করা হয়।

গানটি কাশ্মিরের শহিদ ও ২০১৬ সালে তুরস্কে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের সময় যারা নিহত হয়েছেন তাদের উৎসর্গ করা হয়।

তুরস্কের গীতিকার তুরগে এভরেনের লেখা গানটিতে কন্ঠ দিয়েছেন পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী হাদিকা কিয়ানি ও তুর্কি সংগীতশিল্পী আলী তোলগা।

গানটি একটি বার্তার দিয়ে শুরু হয় যেখানে লেখা আছে, "আমাদের প্রিয় শহীদদের চিরন্তন স্মৃতির উদ্দেশ্যে : ১৩ জুলাই, ১৯৩১ কাশ্মির শহীদ দিবস, ১৫ জুলাই ২০১৬, তুরস্কের ব্যর্থ অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা।"

তবে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভী তার অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে ভিডিওর লিঙ্কটি শেয়ার করার কয়েক ঘন্টা পরে ১৫ জুলাই ইউটিউব কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয় উল্লেখ করে গানটি সরিয়ে ফেলেছে।

তুর্কি গীতিকার এভরেন বলেন, “পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট এই গানটির প্রশংসা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার দেয়ার পরে গানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, তা অর্থপূর্ণ।”

তিনি তুর্কি সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সিটিকে বলেন, গানের জন্য কাশ্মিরের ফুটেজ সরবরাহকারী কিছু ভিডিও কন্টেন্ট নির্মাতাদেরকে পরিচিত গ্রুপ দ্বারা "চাপ ও ভয় দেখানো হয়েছিল"।

এভরেন আনাদোলু এজেন্সিকে বলেন, ‘দুর্ভাগ্যক্রমে ইউটিউব বা টুইটারের কাছ থেকে এমন ভিত্তিহীন অভিযোগের শিকার এর আগেও হয়েছি। তারা তুরস্ক ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পক্ষপাত করে।’

স্পষ্টতই কিছু শক্তি ইউটিউবকে তুরস্ক এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উদ্বুদ্ধ করেছে। ইউটিউব এখনও অবধি এই বিষয়ে খুব ভাল কিছু দেখাতে পারেনি।

তিনি বলেন, উদাহরণস্বরূপ, আমরা ভারত অধিকৃত কাশ্মিরে বসবাসকারী একজন কাশ্মিরি ভাইয়ের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি পেয়েছি (তার ভিডিও ব্যবহারের জন্য) কিন্তু ভিডিও প্রকাশ হওয়ার পর তিনি তার মত পাল্টে ফেলেন।

এভরেন ইঙ্গিত দিয়ে বলেন যে ভারত সরকারের চাপের মুখে তিনি হয়তো এমনটা করছেন।

এমনকি ফটোগ্রাফাররা ফুটেজ হিসেবে কাশ্মিরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে তোলে ধরেছেন তাতেও ভারত ভীত বলে মনে করেন তিনি।

গানটি আবারো ইউটিউবে চির বসন্তের তুর্কি অনুবাদ “দেমি বাহার” শিরোনামে আপলোড করা হয়। ইয়েনি শাফাক


আরো সংবাদ



premium cement