৮৬ বছর পর আয়া সোফিয়ায় আজান
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১১ জুলাই ২০২০, ১০:২৭, আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২০, ১২:৪০
তুরস্কের আদালতের রায়ের পর ইস্তাম্বুলের খ্যাতনামা আয়া সোফিয়ায় আজান দেয়া হয়েছে।
দেশটির শীর্ষ আদালত শুক্রবার আয়া সোফিয়াকে ১৯৩৪ সালের তৎকালীন সরকারের জাদুঘরে পরিণত করার আদেশটি বাতিল করে।
এর পরেই তুরস্কের ইসলামপন্থী সরকারের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান এটিকে মসজিদ বানানোর এক আদেশে সই করেছেন।
দেড় হাজার বছরের পুরনো আয়া সোফিয়া এক সময় ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় গির্জা, পরে তা পরিণত হয় মসজিদে, তারও পর একে জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হয়।
আদালতের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়ার অর্থোডক্স চার্চ।
এরদোগান বলছেন, আদালতের রায়ের পর নামাজ পড়ার জন্য আয়া সোফিয়াকে খুলে দেয়া হবে।
টুইটারে এক পোস্টে এরদোগান জানান, আয়া সোফিয়ার সম্পত্তি ‘দিয়ামাত’ বা তুর্কী ধর্মীয় বিষয়ক দফতরের হাতে সোপর্দ করা হবে।
এরপরই আয়া সোফিয়াতে প্রথমবারের মতো আজান দেয়া হয়।
সরকারের কট্টরপন্থী সমর্থক ‘হাবার টিভি’সহ অন্যান্য টেলিভিশন চ্যানেলে এই দৃশ্য সম্প্রচার করা হয়।
আয়া সোফিয়ার ইতিহাস
আয়া সোফিয়ার ইতিহাসের সূচনা ৫৩৭ খ্রিস্টাব্দে, যখন বাইজান্টাইন সম্রাট জাস্টিনিয়ান ইস্তাম্বুলের গোল্ডেন হর্ন নামে এক জায়গায় একটি বিশাল গির্জা তৈরির সিদ্ধান্ত নেন।
সে সময় বিশাল গম্বুজের এই গির্জাকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গির্জা এবং দালান বলে মনে করা হতো।
১২০৪ সালে ক্রুসেডারদের হামলার ঘটনা বাদে কয়েক শতাব্দী ধরে আয়া সোফিয়া বাইজান্টাইনদের নিয়ন্ত্রণে ছিল।
ওসমানীয় বংশীয় সুলতান তৃতীয় মেহমেদ ১৪৫৩ সালে বাইজান্টাইন শাসকদের হাত থেকে ইস্তাম্বুল দখল করে নেন। তার আগ পর্যন্ত শহরটির নাম ছিল কনস্টান্টিনোপল।
ইস্তাম্বুল দখলের পর বিজয়ী মুসলিম বাহিনী প্রথমবারের মতো গির্জার ভেতরে নামাজ আদায় করে।
ওসমানীয় শাসকেরা এরপর আয়া সোফিয়াকে মসজিদে রূপান্তর করেন। মসজিদের চারপাশে চারটি মিনার তৈরি করেন।
গির্জার সব খ্রিস্টান প্রতিকৃতি এবং সোনালি মোজাইকগুলো কোরানের বাণী দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়।
এর পরের কয়েক শ’ বছর ধরে আয়া সোফিয়া ছিল ওসমানীয় মুসলমান সাম্রাজ্যের কেন্দ্রবিন্দু।
১৯৩৪ সালে তুরস্কে ধর্মনিরপেক্ষতা চালু করার প্রক্রিয়ায় মসজিদটিকে জাদুঘরে পরিণত করা হয়।
আয়া সোফিয়া এখন তুরস্কের সবচেয়ে দর্শনীয় স্থান বলে স্বীকৃত। প্রতিবছর ৩৭ লাখ পর্যটক এটি দেখতে আসেন।
সূত্র : বিবিসি, ডেইলি সাবাহ
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা