২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ইদলিবে যেকোনো হামলা প্রতিহতের হুঙ্কার তুরস্কের

- ছবি : সংগৃহীত

বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে দেশটির সরকারি বাহিনীর অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে তুরস্ক বলেছে, সেখানে যেকোনো হামলা তারা প্রতিহত করবে। ইদলিবের গুরুত্বপূর্ণ শহর সারাকেব সিরীয় বাহিনী নিয়ন্ত্রণ নেয়ার প্রতিক্রিয়ায় এ কথা জানাল তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

সোমবার সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সেনাবাহিনীর অভিযানে সাত তুর্কি সেনা নিহত হয়। তুরস্ক জানায়, তাদের পাল্টা হামলায় সিরীয় সেনাবাহিনীর ৭৬ জন সেনা নিহত হয়েছে।

তুর্কি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র কর্নেল ওলকাজি ডেনিজের বলেন, যেকোনো হামলার সমুচিত জবাব দেয়া হবে। ইদলিবে আমাদের সেনাদের অবস্থান থাকবে এবং তারা নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করবেন।

তুরস্ক সমর্থিত বিদ্রোহীদের দখলে থাকা শেষ প্রদেশ ইদলিবের গুরুত্বপূর্ণ শহর সারাকেব নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে সিরিয়ার সরকারি সেনাবাহিনী। সিরীয় বিদ্রোহীদের সমর্থন দেয়া তুর্কি বাহিনীর সাথে দুই দিনের গুলিবিনিময়ের পর কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এলাকাটি দখল করে তারা।

সিরীয় সেনাবাহিনীর এই অভিযানে আকাশপথে হামলা চালিয়ে সহযোগিতা করে দেশটির বিমানবাহিনী ও সরকারের সমর্থক রাশিয়া। অভিযানের ফলে কয়েক হাজার বেসামরিক নাগরিক প্রদেশটি ছেড়ে পালিয়েছেন। সাকারেব শহরে সিরিয়ার দু’টি গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক এসেছে মিলিত হয়েছে। এই দু’টি মহাসড়ক সরকার নিয়ন্ত্রিত দামেস্ক ও আলেপ্পোকে সংযুক্ত করেছে। কিন্তু তা বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকার মধ্য দিয়ে এগিয়েছে।

টেলিভিশন ফুটেজে দেখা গেছে, সামরিক যান ও সেনারা বিধ্বস্ত শহরের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। রাস্তায় পড়ে আছে লাশ। সিরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী শহরে পুঁতে রাখা মাইন নিষ্ক্রিয় করার কাজ শুরু করেছে। এর আগে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ শহর মারাত আল-নুমান পুনর্দখল করে সরকারি বাহিনী।

ইরানি মিলিশিয়া ও রাশিয়ার বিমান হামলার সহযোগিতায় ডিসেম্বরে শুরু করা অভিযানে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বাহিনী উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অনেক শহর ও গ্রাম পুনর্দখল করেছে। এ সময়ে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন।

শরণার্থীদের ঢল নামার আশঙ্কায় সিরীয় বিদ্রোহীদের সমর্থন ও সহযোগিতা দেয়া তুরস্ক সরকার অভিযান বন্ধের জন্য রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। ২০১৭ সাল থেকেই ইদলিবে সেনা মোতায়েন রেখেছে তুরস্ক।

২০১১ সালে শুরু হওয়া সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে ইদলিবে বাশারবিরোধী বিদ্রোহীরা শক্তিশালী ঘাঁটি গড়ে তুলেছে। ২০১৭ সাল থেকেই ইদলিবে বিদ্রোহীদের সহযোগিতার জন্য সেনা মোতায়েন রেখেছে তুরস্ক। ইরানি মিলিশিয়া ও রাশিয়ার বিমান হামলার সহযোগিতায় ডিসেম্বরে শুরু করা অভিযানে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বাহিনী উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অনেক শহর ও গ্রাম পুনর্দখল করেছে। এ সময়ে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন।


আরো সংবাদ



premium cement
ভারতে নলকূপ থেকে পানি নেয়ায় দলিত যুবককে পিটিয়ে হত্যা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি : পাকিস্তানকে ৫৯১ রুপি দিয়ে সমাধানের ভাবনা আইসিসির এবার লিভারপুলের কাছে আটকে গেল রিয়াল মাদ্রিদ উত্তরসূরী হিসেবে রাউহির নাম ঘোষণা করলেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট ‘বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে সহায়তা করতে প্রস্তুত আইসিসি’ এশিয়া ডেমোক্রেসি অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস পুরস্কার পেল অধিকার মারবা? পারবা না। ৩ আমেরিকানকে মুক্তি দিলো চীন আইনজীবী হত্যায় উত্তাল চট্টগ্রাম জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : ড. ইউনূস বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে বিভক্ত না হতে মাহাথিরের আহ্বান

সকল