তুর্কি সীমান্ত এলাকা থেকে সরে যাচ্ছে কুর্দি যোদ্ধারা
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২০ অক্টোবর ২০১৯, ১৬:৪৪
তুরস্কের সীমান্ত এলাকা থেকে সরে যেতে রাজি হয়েছে কুর্দি যোদ্ধারা। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে তারা এই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বলে কুর্দিদের এক সিনিয়র নেতা আলজাজিরাকে জানিয়েছেন। ৫ দিনের এই যুদ্ধবিরতিকালীন সময়ে সিরিয়ার উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় একটি শহর থেকে কুর্দি যোদ্ধাদের সরে যাওয়ার সুযোগ দিয়েছে তুরস্ক। অভিযান শুরুর পর থেকে শহরটি ঘিরে রেখেছে তুর্কি সৈন্যরা।
রেদুর খলিল নামের কুর্দিপন্থী সিরিয়ার ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সের ওই নেতা বলেন, রোববার তারা আল আল আইন শহরটি থেকে সরিয়ে নেবেন তাদের যোদ্ধাদের। তিনি জানিয়েছেন, তাদের যোদ্ধারা তুর্কি সীমান্ত এলাকা থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে সরে যাবে। এর মাধ্যমে এই প্রথম তুরস্কের সীমান্ত এলাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করলো কুর্দিপন্থী সংগঠনটি।
এসডিএফের বেশির ভাগ যোদ্ধাই কুর্দিশ পিপলস প্রোটেকশন ইউনিট বা ওয়াইপিজির সদস্য। যে সংগঠনটিকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠি হিসেবে ঘোষণা করেছে তুরস্ক। আঙ্কারা বলছে, তুরস্কের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাথে সম্পর্ক রয়েছে ওয়াইপিজির।
গত সপ্তাহে তারা ওয়াইপিজির বিরুদ্ধে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় এলাকায় অভিযান শুরু করে। বেশ কিছু এলাকা থেকে কুর্দি যোদ্ধাদের হটিয়ে দিয়েছে তুর্কি সেনারা। এরপর মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের মধ্যে আলাপের পর ৫ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় তুরস্ক। এ সময়ের মধ্যে কুর্দি যোদ্ধারা তুরস্কের সীমান্ত এলাকা ছেড়ে না গেলে আবারো হামলা শুরু হবে বলে জানিয়েছে তুরস্ক।
কুর্দি যোদ্ধাদের তুরস্কের সীমান্ত এলাকা ছেড়ে যাওয়ার জন্য ১২০ ঘণ্টার সময় বেধে দিয়েছে এরদোগানের সরকার। অঞ্চলটিতে সেফ জোন প্রতিষ্ঠার জন্য অনেকদিন ধরেই কাজ করছে তারা। তুরস্ক চাইছে কুর্দিদের সরিয়ে নিজের সীমান্ত এলাকা সুরক্ষিত রাখতে এবং তুরস্কে আশ্রয় নেয়া সিরীয় শরনার্থীদের দেশে ফেরত পাঠাতে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা