ডুবিয়ে দেয়া হলো বিশাল বিমানটি
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৫ জুন ২০১৯, ১৭:২০
সমুদ্রের পানিতে ধীরে ধীরে ডুবে যাচ্ছে একটি বিশাল আকারের যাত্রীবাহী বিমান। চারপাশে কাজ করছেন কয়েজন ক্রু। দূর থেকে কৌতুহলি মানুষজন ছবি তোলায় ব্যস্ত। ধীরে ধীরে বিশাল বিমানটি তলিয়ে গেল পানির নিচে। ঘটনাটি তুরস্কের। শনিবার দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় ইদাইর্ন শহরের কাছের সারোস উপসাগরে ডুবিয়ে দেয়া হয় বিশাল আকারের যাত্রীবাহী বিমান এয়ারবাস এ৩৩০।
তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় আন্তালিয়া নগরী থেকে আনা হয় বিমানটি। ডাইভিং সেক্টরে পর্যটক আকর্ষণের জন্যই এটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সমুদ্রের তলদেশে থাকা বিমানটিতে প্রবেশ করতে পারবেন শখের ডুবুরিরা। এই অঞ্চলে ডাইভিং করতে আসা লোকদের বাড়তি বিনোদন দেবে এটি। বিমানটির মধ্যে কিছুক্ষণ অবস্থানও করতে পারবেন তারা। কর্তৃপক্ষ বলছে, এর ফলে পর্যটক আকর্ষণে নতুন মাত্রা যোগ হবে অঞ্চলটিতে। বিশেষ করে যেসব পর্যটক সমুদ্রের তলদেশে ডাইভিং করেন।
এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমান যেটি ডুবিয়ে দেয়া হলো পর্যটক আকর্ষণের জন্য। ৯০ টন ওজনের বিমানটি ডুবিয়ে দিয়ে সময় লেগেছে ৪ ঘণ্টা। কিছুদিন আগে বিমানটিকে যাত্রী পরিবহন থেকে অবসরে পাঠানো হয়েছে। পরে সেটিকে পর্যটক আকর্ষণের কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত হয়।
বিশাল আকারের রাবারের নৌকার ওপর ভাসিয়ে বিমানটিকে উপকূল থেকে আধা নটিক্যাল মাইল সমুদ্রের ভেতরে নেয়া হয়। এরপর বাবারের নৌকাগুলোর বাতাস বের করে দিলে বিমানটি ধীরে ধীরে তলিয়ে যায় সমুদ্রের তলদেশে।
তুরস্কের অর্থনীতির বড় একটি আয়ের উৎস পর্যটন খাত। দেশটিতে প্রতি বছর প্রচুর পর্যটন যান। গত কয়েক বছরে এই খাতকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে বিভিন্ন চমকপ্রদ ব্যবস্থা নিচ্ছে তুর্কি পর্যটন বিভাগ। বিমান ডুবিয়ে দেয়াও তারই একটি অংশ। সূত্র : ডেইলি সাবাহ
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা