২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

তুরস্ক ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনার রহস্য কি?

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প - সংগৃহীত

তুরস্ক ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার উত্তেজনা আবারও তীব্র হয়েছে। ২০১৬ সালের জুলাই মাসে তুরস্কে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার পর থেকে তুর্কি-মার্কিন সম্পর্কে প্রায়ই উত্তেজনা দেখা গেছে।

তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন মার্কিন সরকারের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান সরকারের বিরোধ বাড়তে বাড়তে এখন তা নজিরবিহীন পর্যায়ে পৌঁছেছে। রাশিয়া থেকে বিমান-প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘এস-৪০০’ কেনার জন্য আঙ্কারার অনমনীয় অবস্থানই এই নজিরবিহীন উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু।

বিশ্বের সর্ববৃহৎ সামরিক জোট ন্যাটো’র অন্যতম প্রভাবশালী সদস্য দেশ তুরস্ক। দেশটি রাশিয়ার ওই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিনলে ‘এফ-৩৫’সহ ন্যাটো জোটের অন্যান্য যুদ্ধবিমানগুলোর দুর্বলতা রাশিয়ার কাছে স্পষ্ট হয়ে পড়তে পারে বলে দাবি করছে ওয়াশিংটন। এ ছাড়াও রুশ অস্ত্র কেনা শুরু করলে তুরস্ক রাশিয়ার অস্ত্রের ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠবে বলেও আশঙ্কা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

এছাড়া রাশিয়ার এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মার্কিন আকাশ প্রতিরক্ষা-ব্যবস্থা প্যাট্রিয়টের দুর্বলতাগুলোও স্পষ্ট করতে পারে বলে ভয় পাচ্ছে মার্কিন সরকার।

আর এসব কারণেই রাশিয়ার নিকট থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার ব্যাপারে তুরস্ক অনড় অবস্থানে থাকায় আঙ্কারার ওপর ভীষণ ক্ষিপ্ত মার্কিন কংগ্রেস ও পেন্টাগন। রাশিয়ার নিকট থেকে এই প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ক্রয় করা থেকে তুর্কি সরকারকে বিরত রাখতে ও চাপ সৃষ্টি করতে মার্কিন সরকার ইতোমধ্যে তুরস্কে মার্কিন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ও এর জন্য জরুরী যন্ত্রাংশ সরবরাহ স্থগিত করেছে।

কিন্তু তারপরও তুরস্ক ওই কৌশলগত রুশ অস্ত্র কিনতে এখনও দৃঢ়-প্রতিজ্ঞ। এ অবস্থায় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেছেন, রাশিয়ার নিকট থেকে এস-৪০০ কিনলে তুরস্ককে ন্যাটো জোট থেকে বের করে দেয়া হবে। ন্যাটোর শত্রুর কাছ থেকে অস্ত্র কেনা মার্কিন সরকারের দৃষ্টিতে মারাত্মক অপরাধ! এই অপরাধের দায়ে তুরস্কের কাছে প্যাট্রিয়ট ও এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান দেয়া হবে না বলেও বার বার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে ওয়াশিংটন।

এদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের নেতৃত্বাধীন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, রাশিয়ার নিকট থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কেনা নিয়ে তুরস্কের সঙ্গে দ্বিমুখী আচরণ করছে ওয়াশিংটন। কারণ ন্যাটো জোটের সদস্য বুলগেরিয়া, গ্রিস ও স্লোভেনিয়াসহ এ জোটের আরও কয়েকটি দেশ রাশিয়ার এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে! কই তাদের ওপর তো কোনো চাপ বা শাস্তির হুমকি দেয়নি মার্কিন সরকার!

তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলছেন, রাশিয়ার নিকট থেকে তুরস্ক এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র তো কিনবেই এবং এমনকি ভবিষ্যতে রাশিয়ার আরও উন্নত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৫০০ ক্ষেপণাস্ত্রও কিনতে পারে।

এ নিয়ে তুরস্ক ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে ঠেকছে তা-ই এখন দেখার বিষয়। বিশ্বের সর্ববৃহৎ সামরিক জোট ন্যাটো’র অন্যতম প্রভাবশালী সদস্য দেশ তুরস্ক। রুশ অস্ত্র কেনা শুরু করলে তুরস্ক অস্ত্র ইস্যুতে রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা করছে ওয়াশিংটন। সূত্র : পার্স টুডে।


আরো সংবাদ



premium cement
সংখ্যালঘুদের রক্ষা করার প্রাথমিক দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারের : ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ‘রাষ্ট্রের কোনো প্রতিষ্ঠান কোনো দল বা গোষ্ঠির নয়’ রোহিঙ্গারা এনআইডি নেয়ার অপচেষ্টা চালালে ইসিকে জানানোর আহ্বান আলিফের পরিবারকে এক কোটি টাকা দেবে শামসুল হক ফাউন্ডেশন জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে যারাই যাবে, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে : জামায়াত আমির এক সপ্তাহ পর বেনাপোল থেকে দূরপাল্লার পরিবহন চলাচলের সিদ্ধান্ত সমন্বয়কদের ওপর হামলা হালকাভাবে দেখছে না সরকার কমছে ৪৭তম বিসিএসের আবেদন ফি গাজীপুরে কোরআন অবমাননার অভিযোগে কলেজছাত্র গ্রেফতার অযাচিত অস্থিরতা নয়, দায়িত্বশীল হোন সুখী : দেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধন

সকল