২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

জেরুজালেমের জন্য তুরস্ক তার লড়াই চালিয়ে যাবে : এরদোগান

জেরুজালেমের জন্য তুরস্ক তার লড়াই চালিয়ে যাবে : এরদোগান
জেরুজালেমের জন্য তুরস্ক তার লড়াই চালিয়ে যাবে : এরদোগান - ছবি : সংগৃহীত

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান বলেছেন, পবিত্র আল আকসা মসজিদ ইস্যুতে পুরো দুনিয়া নীরব থাকলেও তুরস্ক চুপ থাকবে না। জেরুজালেমের জন্য তুরস্ক তার লড়াই অব্যাহত রাখবে। যতক্ষণ পর্যন্ত শহরটি ইসলামী বিশ্বে এর গুরুত্ব অনুযায়ী পরিচালিত না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত এ লড়াই অব্যাহত থাকবে। বুধবার আঙ্কারায় এক অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

এ সময় তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ফিলিস্তিনি শিশুদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালানোর দায়ে অভিযুক্ত করেন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে তুর্কি সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি।

জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদ কমপ্লেক্সে ইসরায়েলি তাণ্ডবেরও সমালোচনা করেন এরদোগান। তিনি বলেন, তুর্কি জাতি এই পবিত্র মসজিদে যে কোনও তাণ্ডবের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলবে। এ ইস্যুতে সমগ্র দুনিয়া মুখে এঁটে রাখলেও তুরস্ক চুপ করে থাকবে না।

এরদোগান বলেন, আল আকসা মসজিদ কমপ্লেক্সে হামলার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামনে ইসরায়েলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে তুরস্ক।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, দুনিয়ায় যদি একজন নিপীড়ক থাকে, তবে সেটি হচ্ছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

এরদোগান বলেন, নেতানিয়াহু কি সেই ব্যক্তি নয়, যে নির্বাচনে সুবিধা লাভের উদ্দেশে হাজার হাজার নারী, শিশু ও বৃদ্ধ মানুষকে কারাগারে রাখে? তাদের ওপর নিপীড়ন চালায়।

উল্লেখ্য, জায়নবাদ নামক মতবাদের মধ্য দিয়ে ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ইসরায়েল রাষ্ট্র। জায়নবাদ ইহুদি ধর্মের দর্শন নয়, এটি একটি রাজনৈতিক মতবাদ; অলীক রূপকথায় যে মতবাদের শরীর গড়ে উঠেছে। জায়নবাদের ভাষ্য, জেরুজালেমসহ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড নিয়ে গঠিত পবিত্র নগরীতে স্রষ্টা তাদের অধিকার ফিরিয়ে নিতে বলেছিল!

ইতিহাসে নজর ফেরালে দেখা যায়, ১৮ শতক থেকে জায়নবাদ নামের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ইউরোপসহ বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা ইহুদিরা তাদের বর্ণবাদী ধারণা ধারণা বিস্তার ঘটিয়ে দখল হওয়া ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্ম দেয়।

২০১৮ সালের জুলাইয়ে জায়নবাদী মতাদর্শকে আইনগত ভিত্তি দিতে নেসেটে পাস হওয়া ‘জাতিরাষ্ট্র বিষয়ক আইন’ অনুযায়ী দখলীকৃত ফিলিস্তিনি ভূমিতে প্রতিষ্ঠিত ইসরায়েল রাষ্ট্রকে ঐতিহাসিকভাবেই ইহুদিদের জন্মভূমি আখ্যা দেওয়া হয়।

বলা হয়, সঙ্গত কারণেই এখানকার মাটিকে নিজেদের দাবি করার অধিকার রয়েছে তাদের। আইনে বলা হয়, ইসরায়েল শুধু ইহুদি নাগরিকদের রাষ্ট্র। অথচ ইসরায়েল নামক দেশটিই গড়ে উঠেছে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ভূখণ্ড দখল করে।

১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে ফিলিস্তিনের পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয় ইসরায়েল। ১৯৮০ সালে পুরো জেরুজালেমের দখল নেয় ইসরায়েল। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কখনও তাদের এই দখলদারিত্বের স্বীকৃতি দেয়নি। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান বরাবরই এই দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে সোচ্চার।


আরো সংবাদ



premium cement