১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২ ফাল্গুন ১৪৩১, ১৫ শাবান ১৪৪৬
`

পাকিস্তান ও তুরস্কের কৌশলগত সম্পর্ক জোরদারের অঙ্গীকার

পাকিস্তান ও তুরস্কের কৌশলগত সম্পর্ক জোরদারের অঙ্গীকার - ছবি - সংগৃহীত

পাকিস্তান ও তুরস্ক বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদে হাই লেভেল স্ট্র্যাটেজিক কো-অপারেশন কাউন্সিলের সপ্তম দফার বৈঠকে প্রতিরক্ষা, খনিজ উত্তোলন ও অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা গভীরতর করতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সাথে সর্বোচ্চ স্তরের দ্বিপক্ষীয় আলোচনা ফোরামে সহ-সভাপতিত্ব করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোগান।

বৃহস্পতিবার প্রতিনিধি স্তরের রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর দুই পক্ষ ২৪টি স্বাক্ষরিত নথি আদান-প্রদান করে। এর মধ্যে রয়েছে একটি যৌথ ঘোষণা, কয়েকটি চুক্তি ও বেশ কিছু সমঝোতা স্মারক চুক্তি।

বৈঠকের পর লাইভে সম্প্রচারিত ভাষণে এরদোগান বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক আরো মজবুত করতে আমরা সহমত হয়েছি।’

যৌথ ঘোষণার বিবৃতি এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তবে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এতে পাকিস্তান ও তুরস্কের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরো গভীর, বহুমুখী ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার নকশা রয়েছে।’

এর আগে, বুধবার রাতে তুরস্কের নেতাকে শেহবাজ শরিফ ও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি রাজধানীর কাছে এক সামরিক বিমান ঘাঁটিতে স্বাগত জানান।

উভয়পক্ষ বিমান বাহিনীর ইলেক্ট্রনিক যুদ্ধ ও প্রতিরক্ষা শিল্পে উৎপাদনে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়। সেই সাথে তুরস্কের সেক্রেটারিয়েট অফ ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ও পাকিস্তানের প্রতিরক্ষাগত উৎপাদন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ ও পাকিস্তানের নৌ-গবেষণা ও উন্নয়ন ইন্সটিটিউটের মধ্যে আরেকটি চুক্তি হয়।

এছাড়াও পাকিস্তান ও তুরস্ক তাদের বিদ্যমান বাণিজ্য চুক্তির মানোন্নয়নেও সম্মত হয়। প্রায় ১৫০ কোটি ডলার থেকে বাড়িয়ে বার্ষিক ৫০০ কোটি ডলার মূল্যের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সংক্রান্ত আগের অঙ্গীকারকে পুনরায় ব্যক্ত করা হয়।

চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের অংশ হিসেবে গঠিত বিশেষ অর্থনৈতিক জোনে বিনিয়োগ টানতে পাকিস্তান হিমশিম খাওয়া সত্ত্বেও শেহবাজ শরিফ ঘোষণা করেন, শিল্পগত উৎপাদনের জন্য তুরস্কের সংস্থাগুলো পাকিস্তানে বিশেষ অর্থনৈতিক জোন তৈরি করবে।

হাইড্রোকার্বনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান সহযোগিতার চুক্তিকে সংশোধন করতে উভয়পক্ষ এক বিধি বন্দোবস্তে সম্মত হয় এবং পাকিস্তানের বিদ্যুৎ স্থানান্তরে সাহায্য করতে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।

বৈঠকের পর সংক্ষিপ্ত ভাষণে শরিফ তুরস্কের সাথে যৌথভাবে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার অঙ্গীকার করেন। এ সময় পাকিস্তানের এ নেতা সহিংসতার উৎস হিসেবে আফগানিস্তানের দিকে আঙুল তোলেন।

সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা


আরো সংবাদ



premium cement
মারণাস্ত্র ও ছররা গুলির ব্যবহার নিষিদ্ধের প্রস্তাব ডিসিদের পিলখানা হত্যাকাণ্ড ছিল আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ : অ্যাটর্নি জেনারেল সাবিনাদের সাথে ফের আলোচনা দুই বিদেশী নিতে চায় আবাহনী পরিবেশের টেকসই উন্নয়নে সংস্কৃতি চর্চার গুরুত্ব অপরিসীম : পরিবেশ উপদেষ্টা লাওসে বিস্ফোরণে চীনা নাগরিকসহ নিহত ৪ যুদ্ধবিরতি চুক্তি এগিয়ে নেয়ার আহ্বান সদ্য মুক্তি পাওয়া ৩ ইসরাইলির কুমিল্লায় উদ্ধার হওয়া মর্টার শেল নিষ্ক্রিয় করল সেনাবাহিনী কারওয়ান বাজারে ইটিভি ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় জনতার ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই : মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন ভিউজ বাংলাদেশ’র প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

সকল