ক্যারিয়ার সমাচার
- মাহবুবুর রশিদ
- ১২ মার্চ ২০২০, ০০:০০
ক্যারিয়ার হচ্ছে মানবজীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তা করেন না পৃথিবীতে এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। সবাই চায় অন্তত নিজের ক্যারিয়ারটা ভালো করে গড়ে তুলতে। আর সেই ক্যারিয়ার গঠনের সর্বোত্তম সময় হলো ছাত্রজীবন। একজন ভালো ছাত্র হিসেবে আমিও এর ব্যতিক্রম ছিলাম না। সব সময় নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তা করতাম। ক্যারিয়ারের চিন্তাটা শুরু হয় যখন পাঠশালা শেষ করে হাইস্কুলে ভর্তি হই। বাড়ি থেকে চার-পাঁচ কিলোমিটার দূরে স্কুল।
সময় মতো কোনো যানবাহন পাওয়া যেত না। পিঠে বইয়ের বোঝা নিয়ে হেঁটে আসতেও সময় লাগত বেশি। সময় মতো স্কুলে আসতে না পেরে কত দিন স্যারের হাতের ভিটামিনসমৃদ্ধ পিটুনি খেয়েছি তার কোনো ইয়ত্তা নেই। শেষমেশ বাবাকে বললে তিনি একটি বাইসাইকেল কিনে দেন। এর পর থেকে সে সাইকেলে চড়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত শুরু করি। সাইকেল কেনার পর সবচেয়ে বড় যে সুবিধা পেলাম তা হলোÑ সাইকেলে বড়-সড় একটা ক্যারিয়ার ছিল। আগে বইয়ের বোঝা পিঠে চড়ে আসত, আর এখন থাকে ক্যারিয়ারে। অনেকটা আরাম-আয়েশে স্কুলে যাওয়া আসা করতাম।
মাঝেমধ্যে ক্যারিয়ার থেকে বইয়ের ব্যাগ পড়ে যেত। সাইকেল থামিয়ে আবার তুলতাম। সামনের দিকে সাইকেল চালিয়ে ক্যারিয়ারের চিন্তায় মাঝেমধ্যে পেছনের দিকে থাকাতাম।
আবার কখনো ব্যাগ পিঠে নিয়ে গ্রামের সেই জাম্বু সহপাঠীকে ক্যারিয়ারে বসিয়ে বাড়ি ফিরতাম। জাম্বুু ছেলেটার ওজন এত বেশি, সবসময় চিন্তায় থাকতাম কখন যে আমার ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়ে যায়।
ভাবতে পারেন একটা স্কুল পড়–য়া ছেলে আমি, তখন নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে কতই না চিন্তা করতাম। অথচ এখনকার শিক্ষার্থীদের নিজের ক্যারিয়ার গঠন নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই।
একদিন স্কুল থেকে তালা ভেঙে আমার সেই বাইসাইকেল চুরি হয়ে যায়। ফলে আমার ক্যারিয়ারও পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়। নতুন করে ক্যারিয়ার গড়ার লক্ষ্যে কলেজে ভর্তি হয়ে মোটরসাইকেল কিনলাম। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় মোটরসাইকেলে কোনো ক্যারিয়ার ছিল না। ফলে আজও নিজের ক্যারিয়ারটা ঠিকমতো গড়তে পারিনি। হ