০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ন ১৪৩১,
`

প্রিন্টিং মিসটেক

-

বন্ধু-বান্ধবীর হিসাব নেই। বন্ধু-বান্ধবীগুলো কয়েকটা ভাগে ভাগ করা, যেমন ধরেন ক্লাস ওয়ান থেকে ফাইভ পর্যন্ত অর্থাৎ পাঁচ বছরের বন্ধুত্ব এদের সাথে। এই বন্ধু-বান্ধবীদের জন্য একটা লিস্ট রয়েছে। তারপর যাদের সাথে ক্লাস সিক্স থেকে এসএসসি পর্যন্ত পড়াশোনা করছি তাদের একটা লিস্ট রয়েছে। আবার এইচএসসিতে দুই বছর যাদের সাথে পড়াশুনা করেছি তাদের একটা লিস্ট রয়েছে। তাছাড়া অনার্স পড়াকালীন যেসব বন্ধু-বান্ধবী রয়েছে তাদের একটা লিস্ট রয়েছে।
সামনের মাসে আমার বিয়ে। আমি প্রচুর ভুলেভরা একটি মানুষ। সহজ কাজকে জটিল করাই আমার একমাত্র কাজ। বান্ধবীরা বলত, আমি নাকি টেনশনপ্রিয় মানুষ। যাক সে সব কথা, বিয়ে উপলক্ষে সেই বিভিন্ন পর্যায়ে তৈরি হওয়া বন্ধু-বান্ধবীদের দাওয়াত করব ভেবে কার্ড তৈরি করব। আমি বড় ভাইকে ফোন দিলামÑ হ্যালো ভাইয়া।
হ্যাঁ, বল।
কয়েকটা কার্ড ছাপানো লাগবে।
শুনলাম। কয়েক শ’ কার্ড লাগবে?
আরেক শ’এর হিসাব পরে। বন্ধু-বান্ধবীদের জন্য স্পেশালি কয়েকটা কার্ড তৈরি করব।
ও আচ্ছা। সমস্যা নেই কার্ডের ডিজাইন দিচ্ছি ই-মেইলে। দেখে পছন্দ করে ই-মেইলে উত্তর দিস।
এরপর ভাইয়া ই-মেইলে কার্ড পাঠাল। আমি কার্ড পছন্দ করলাম। তবে দাওয়াতের সেই কার্ডকে স্পেশাল করার জন্য ভাইয়াকে কার্ডের নিচে লিখে দিতে বললাম, স্টার চিহ্ন দিয়ে লিখে দেবেনÑ গিফট নিয়ে যথেষ্ট সচেতন হওয়ার জন্য বলা হইল। এই বিয়ে পুতুল খেলা নয়।
নির্দিষ্ট সময়ে ভাইয়া কার্ড পাঠাল। আমিও নাম লিখে লিখে বন্ধু-বান্ধবীদের ঠিকানায় পাঠিয়ে দিলাম।
বিয়ের দিন ঘনিয়ে আসছে। মনে মনে আনন্দ কাজ করছে। ভাববেন না বিয়ের জন্য আনন্দ কাজ করছে। আনন্দের কারণ কত্ত গিফট পাবো বন্ধু-বান্ধবীর কাছ থেকে, এই নিয়ে।
অবশেষে বিয়ের দিন সবাই এলো। সারাবাড়ি গিজগিজ করছে মানুষ। বন্ধু-বান্ধবীরাও এসেছে। সবাই গিফট নিয়ে এসেছে। হাতের গিফটের প্যাকেটগুলো কেন জানি ছোট ছোট। ভাবলাম হয়তো দামি জিনিস তাই প্যাকেট ছোট। কোনোটা আবার ভারী। যাক বিয়ের দিন তো দেখা হলো না।
দু’দিন পর গিফটগুলো খুলে দেখার সুযোগ পেলাম। ওমা একি! মাথা যেন একশত আশি ডিগ্রি কোণে ঘুরে গেল। এ যে ছোট শিশুদের খেলনা, মাটির পাতিলÑ কেউ আবার প্লাস্টিকের খেলনা দিয়েছে। দু-একজন দামি খেলনা দিয়েছে।
ফোনটা নিয়ে ভাবছি এক এক করে সিরিয়াসলি ফোন দিয়ে বন্ধু-বান্ধবীদের ইচ্ছেমতো গালি দেবো। ফোন দিলাম একটা বান্ধবীকে। রেগেমেগে বললাম, ফাজলামি করার জায়গা পাইলি না।
কিসের ফাজলামি?
আরে এত বড় কাণ্ড করলি এখন বলিস কিসের ফাজলামি? বিয়েতে কী গিফট দিয়েছিস? আমি কি ছোট শিশু যে প্লাস্টিকের হাঁড়িপাতিল দিয়ে খেলব? ইডিয়ট কোথাকার।
বিয়ের কার্ডে স্টার চিহ্নে লেখা দেখে গিফট কিনছি। দোষ আমাদের কেন হবে?
ফোন কেটে দিয়ে দৌড়ে একটা কার্ড বের করে ভালো করে পড়লাম। আমি লিখে দিয়েছিলাম যেÑ গিফট নিয়ে যথেষ্ট সচেতন হওয়ার জন্য বলা হইল। এই বিয়ে পুতুল খেলা নয়।
কিন্তু তা প্রিন্টিং মিসটেকে লেখা হয়েছেÑ গিফট নিয়ে যথেষ্ট সচেতন হওয়ার জন্য বলা হইল। এই বিয়ে পুতুল খেলা। হ

 


আরো সংবাদ



premium cement
তদন্ত প্রতিবেদনসহ আমু-কামরুলকে ১৭ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেশের ৬৯ কারাগারের মধ্যে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ১৭ : কারা মহাপরিদর্শক আমরা হিন্দু-মুসলমান একসাথে লড়াই করে দিল্লির দাসত্বকে খান খান করে দেবো : রিজভী আজমির শরিফ : খাজা মইনুদ্দিন চিশতির দরগাহের ইতিহাস জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়া ও আমেরিকার বাকবিতণ্ডা ‘শেখ হাসিনা সরকার সবকিছু ধ্বংস করে গেছে’ পুলিশের ওপর হামলার মামলায় ১২ আসামির রিমান্ড মঞ্জুর দেনার দায়ে শক্ত অবস্থান হারাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র? বাংলাদেশ কঠিন সময় পার করছে : প্রধান উপদেষ্টা নতুন মামলায় আনিসুল-ইনু-রাশেদ-পলকসহ গ্রেফতার ৯ যুবদল নেতা শামীম হত্যা : আ.লীগের রোকেয়া-মোস্তফা রিমান্ডে

সকল