বাগধারার প্রচলিত ও রম্যরূপ
- খালিদ ফেরদৌস
- ১২ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০
১. বাগধারা : প্রচলিত শব্দ বা শব্দগুচ্ছের দ্বারা বিশেষ কোনো অর্থ বোঝানো।
হরিণধরা : প্রেমবাজ, যেসব পুরুষ-মহিলা খুব সহজে কাউকে পটিয়ে প্রেম-ভালোবাসার সরোবরে ডুব দিতে পারে। ফেসবুক-মেসেঞ্জার হরিণধরার ভালো মাঠ।
২. ভাদাইম্মা : যে কাজ না করে এমনি এমনি ঘুরে বেড়াই। এরা মেধাবী না স্বল্প বুদ্ধির হয়।
বাদাইম্মা : শৌখিন প্রকৃতির, যে বাদাম খেতে খেয়ে কাজ বা প্রেম করতে পছন্দ করে।
৩. বোহেমিয়ান : এলোমেলো, ছন্নছাড়া প্রকৃতির লোক। তবে এরা মেধাবী হয়।
বৈমানিকিয়ান : ত্বরিতব্যক্তি যে অকাজ বা উল্টাপাল্টা কাজে বিমানের গতিতে করে ফেলতে পারে।
৪. ধামাধরা: তোষামোদে, মোসাহেব, চাটুকারিতা। এই ধরনের ব্যক্তি তেলবাজি করে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করে।
কুলাধরা : নির্লজ্জ স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি যারা অন্যের কাছে সাহায্য প্রত্যাশা করে।
৫. ননীর পুতুল : আলস্য, কর্মবিমুখ, আদরের সন্তান যারা পরিশ্রম না করেই সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে।
নানীর পুতুল : নাতি-নাতনী। যাদের সব অপরাধ নানা-নানীর কাছে ক্ষমাযোগ্য।
৬. আলালের ঘরের দুলাল : ধনী বা বড়লোকের সন্তান। অতি আদুরে যারা চাইতেই সব কিছু পেয়ে যায়।
করিমের ঘরের করিমা : নি¤œমধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান, যার কপালে আদর খুব কম জোটে। যারা চাইতেই কোনো কিছু পায় না।
৭. আমড়া কাঠের ঢেঁকি : অপদার্থ, অকর্মণ্য। যারা কাজ করতে গিয়ে অকাজ করে ফেলে।
বাবলা কাঠের ঢেঁকি : পদার্থ, কর্মঠ ব্যক্তি যাদের দিয়ে বস্তুত ও কার্যত ভালো কিছু হয়।
৮. আটকপালে : হতভাগা যার ভাগ্যের চাকা ঘুরেও ঘোরে না।
দশকপালে : অত্যন্ত ভালো ভাগ্য যার। এমন ব্যক্তির ভাগ্যের চাকা সুপারসনিক বিমানের মতো দ্রুত ঘুরে।
৯. অপদার্থ : যাকে দিয়ে কিচ্ছু হয় না, একেবারে আমড়া কাঠের ঢেঁকি।
পদার্থ : যাকে দিয়ে বস্তুত ও কার্যত কিছু হয় সে পদার্থ। অর্থাৎ বাবলা কাঠের ঢেঁকি।
১০. ভূশুণ্ডির কাক : দীর্ঘজীবী ব্যক্তি, বিষয়বুদ্ধি-কুশল ব্যক্তি। এমন ব্যক্তি প্রয়োজনে ও পরিস্থিতি বুঝে নিজের কর্মকাণ্ড সম্পাদন করতে পারে।
ইডিয়ট কাক : অল্পতেই মারা যায় এবং পরকীয়াপ্রিয়। এরা সাধারণত কাকের কোকিলের বাসায় ডিম পাড়ার মতো অন্যের বাসায় বাচ্চা পাড়ে। যে মরার আগে অনেকবার মরে। হ