২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

মকবুলের মার খাওয়া

-

একদিন বিকেল বেলা মকবুল এসে রুমের জানালা দরজা লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়ল। বন্ধুরা এলো সন্ধ্যা ৭টার দিকে। রুম বন্ধ। অনেক কষ্টে রুমের দরজা খুলল। তখনো মকবুল উল্টে উল্টে ঘুম পাড়ছে। সে কী ঘুম! মনে হয় বিরিয়ানি খাওয়ায় চেয়ে ঘুমে কত তৃপ্তি। বন্ধুরা অনেক বার ডাকলো, কোনো কাজ হলো না। একজন একটা সাউন্ড বক্সে গান ছেড়ে দিলো। বাকিরা সবাই কেউ গলা ছেড়ে বেসুরা গলায় গাইতে শুরু করল। কেউ নাচতে শুরু করল। নাহ, তবুও কোনো উপকার নেই। এ ঘুম যেন ভাঙছেই না।
হঠাৎ করে মকবুল কী যেন একটা কথা জোরে জোরে বলতে লাগল। হাবুল চোর মার চোর মার। জোরে মার হাবুল জোরে মার।
সেই কথাটা শুনতে পেল বন্ধুরা। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত প্রথম বাক্য হাবুল চোর মার কথাটা না শুনে সবাই শুনছে জোরে মার জোরে মার শোনার পর এ কী হইহই কাণ্ড! একাধারে সবাই এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারল। সৌভাগ্যবশত বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় মারামারি থেমে গেল।
বিদ্যুৎ চলে আসায় বন্ধুরা দেখতে পেল মকবুল ঘাপটি মেরে বসে আছে। চোখেমুখে যেন এক ঘন বর্ষার ছাপ। হাবলু বলল, কী রে মারতে বললি কেন? তোর কি কোনো অসুখ আছে?
এর পরক্ষণেই আরেকজন বলল, এই, কী হয়েছিল বলতো?
তারপর আরেকজন বলল, বলতো মকবুল, ঘটনা কী?
যাক সময় মতো মারটা মেরেছি নয়তো আজ যে তোর কী হতো।
মকবুল রেগে মেগে আগুন। চিৎকার করে বলছে, চুপ তোরা! একটা কথাও বলবি না। তোরা বন্ধু না, তোরা আমার শত্রু।
হাবুল বলল, কী বলিস! এসব যার জন্য করলাম চুরি সেই বলে চোর।
উপকার না ছাই। আমি কি বলছিলাম আমাকে মার।
কী বলছিস! ঘুমের ঘোরে তো বললি মার জোরে মার।
বোকার দল কোথাকার! আমি স্বপ্নে দেখছিলাম। একটা চোরকে ধরে ফেলছি। আর তাকেই মারতে বলছি। চোর মার চোর মার হাবুল জোরে মার জোরে মার। আর তোরা আমারে এইভাবে মারলি!


আরো সংবাদ



premium cement