২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ভাঙতি লাগবে?

-

কখনো কারো কাছ থেকে ৫০০ টাকার নোট পেয়ে খুশিতে লাফাতে লাফাতে দোকানে গিয়ে ঝামেলায় পড়েছেন? ঝামেলাটা নিশ্চয়ই ভাঙতি নিয়ে। দোকান থেকে কিছু কিনে দোকানদারকে যখন আপনি হাসি হাসি মুখ করে ৫০০ কিংবা এক হাজার টাকার নোট দেবেন তখন দোকানদারের মুখে অন্ধকার নেমে আসবে। সে বিরস মুখ করে বলবে, ‘ভাঙতি নাই।’
দোকানদার আপনাকে মনে করবে পৃথিবীর সব থেকে তুচ্ছ ব্যক্তি। আপনি অনুনয় করে বলবেন, ‘আপনার কাছে নেই তো পাশের দোকানে দেখুন না!’
তিনি মনে মনে বলবেন, ‘আমার কি ঠ্যাকা পড়েছে ব্যাটা?’
কিন্তু হাসি হাসি মুখ করে আপনাকে বলবেন, ‘আপনি একটু দেখুন না ভাই।’
দোকানদারের কথায় আপনি ৫০০ টাকার নোট নিয়ে যখন পাশের দোকানে যাবেন তখন সে দোকান থেকেও আপনি ভাঙতি পাবেন না। এভাবে আপনাকে ঘুরতে হবে আরো দশটি দোকান। তাও পাবেন কি না সন্দেহ।
আপনাদের এরকম সমস্যার কথা মাথায় রেখে আমরা আপনার সেবার জন্য এনেছি ‘ভাঙতি লাগবে’ অ্যাপ। চলুন দেখে আসি কী কী ফিচার থাকছে সেই অ্যাপে।

ইন্সট্যান্ট ভাঙতি
আপনি এরকম সমস্যায় পড়লে আমাদের অ্যাপসে ঢুকে আমাদের ভাঙতি হেলপারদের ট্র্যাক করে নিতে পারেন। আপনার আশপাশেই আছে আমাদের ভাঙতি হেলপাররা। ট্র্যাক করে তাদের মেসেজ করলেই তারা মুহূর্তেই হাজির হবে আপনার কাছে।
ধরেন, একদিন আপনি রিকশায় করে যাচ্ছেন গার্লফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে। রাস্তায় জ্যাম-ট্যাম ঠেলে আপনি যখন রেস্টুরেন্টের সামনে গিয়ে পৌঁছলেন। আপনি পকেট থেকে ৫০০ টাকার একখানা নোট বের করে দিলেন রিকশাওয়ালাকে। কিন্তু আপনার এরকম ভালোবাসা দেখে রিকশাওয়ালা কখনোই ৫০০ টাকা নিতে চাইবে না এবং কিছুক্ষণ আপনি টাকা ভাঙাতে আশপাশে টাকা ভাঙানোর উপায় খুঁজতে যাবেন। কিন্তু পাবেন না। অবশেষে আপনি উপায়হীন হয়ে রিকশাওয়ালাকে ৫০০ টাকার ঝকঝকে নোটখানা দিয়ে যখন রেস্টুরেন্টের ভেতরে আপনার গার্লফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে যাবেন, ঠিক তখনই আপনার গার্লফ্রেন্ড রেগেমেগে আগুন হয়ে আপনার সাথে কথা বলতে শুরু করবে। একপর্যায়ে আপনিও রেগে যাবেন এবং আপনাদের ব্রেকআপ হয়ে যাবে। আপনার এরকম সমস্যা এড়াতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আপনার প্রেমময় জীবন অটুট রাখার জন্য আপনার আশপাশেই আছে ‘ভাঙতি লাগবে’। শুধু আপনার পকেটে থাকা স্মার্টফোনটি বের করে আলাদিনের চেরাগের মতো দুটো ঘষা দিতেই হাজির হয়ে যাবো আমরা।

আস্ত চাই
অনেক সময় আমাদের পকেটে খুচরা টাকার অভাব থাকে না; যে কারণে আমাদের অনেকেরই বেশির ভাগ খুচরা টাকা নিয়ে মাথাব্যথা থাকে। ‘ইসস! পকেটে এতগুলো খুচরা টাকা। লোকজনের সামনে এসব টাকা বের করলে মানুষ তো ভাববে আমি রাস্তার মোড়ে থালা হাতে বসে ছিলাম। না না! টাকাগুলো এখনই আস্ত করতে হবে।’
এসব ভেবে আপনি যখন দোকানে খুচরা টাকা আস্ত করতে যাবেন ঠিক তখনই তারা আপনার টাকা নিতে চাইবে না। কারণ তারা শুধু টাকা ভাঙানোর সময়ই গাফিলতি করে না। খুচরা টাকা আস্ত করতে গেলেও গাফিলতি করে। চিন্তার কিছু নেই। আমাদের ‘ভাঙতি লাগবে’ অ্যাপসে থাকবে টাকা আস্ত করার জন্য একটি ফিচার।

ছেঁড়া নোট পাল্টানো
সে দিন রফিক আঙ্কেল তপু ও তার চাই জয়কে একসাথে একটি ৫০০ টাকার নোট দিয়ে বললেন, ‘তোরা দুইজন এ টাকা নিয়ে ভাগাভাগি করে কিছু খাস।’
আঙ্কেল বিদেয় হওয়ার পরে তপু ও জয়ের মধ্যে টাকা নিয়ে বেধে গেল হট্টগোল। তারা টাকাটি নিয়ে টানাটানির এক পর্যায়ে ৫০০ টাকার নোটটি মাঝখান থেকে ছিঁড়ে দু’ভাগ হয়ে গেল। এই ঘটনাটি ঘটার পরে দু’জনই চুপ করে বসে রইল। দু’জনেরই গালে হাত আর মুখজুড়ে বিষণœতা। ঠিক তখনই ওদের মামাতো চাই রাসেল এসে ওদের এরকম মনমরা অবস্থায় দেখে জিজ্ঞেস করল, ‘কী হয়েছে?’
তখন তপু হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে বলল সব ঘটনা। তপুর কথা শুনে হো হো করে হাসল রাসেল। তপু ভুরু কুচকালো। সে হাসি কি বলেছে যে এত হাসতে হবে? রাসেল ভাই ও না! যত্তসব! রাসেল হাসি থামিয়ে পকেট থেকে ফোনটি বের করে ভাঙতি লাগবে অ্যাপসে ঢুকল। তার পর ওদের বলল এই দেখ। তোদের টাকা পাল্টানোর মেশিন। তপু ও জয় অবাক হলো। ছেঁড়া নোট পাল্টানোরও উপায় আছে তাহলে! ওরা টাকা পাল্টিয়ে আইসক্রিম কিনে খেতে খেতে বাড়িতে আসছে। রাসেল চুক চুক করে আইসক্রিম খাচ্ছে। তপু আর জয় সে দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে ভাবছে, ইসস! আগে অ্যাপসটির নাম শুনলে ব্যাটাকে আইসক্রিমের ভাগ দিতে হতো না।

দেখলেনই তো আমাদের ‘ভাঙতি লাগবে’ অ্যাপসের কেরামতি? তা হলে আর দেরি কেন? আজই সেøা স্টোর থেকে ডাউনলোড করুন আমাদের অ্যাপস।


আরো সংবাদ



premium cement