ফুলবানুর হাঁটতে যাওয়া
- জেলী আক্তার
- ১০ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০
দিন দিন ফুলবানু বেগম ফুলে যাচ্ছেন। মানে মোটা হচ্ছেন। ফুলবানুর স্বামী ভাবছে এর একটা বিহিত করা দরকার, নয়তো এত সুন্দর করে তৈরি করা দরজাটা আর থাকবে না, ভেঙে ফেলতে হবে। কারণ দরজা দিয়ে ঘরে না ঢুকতে পারলে দরজা তো ভাঙতেই হবে। তাই ফুলবানুকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেল তার স্বামী।
ডাক্তার : আপনি প্রতিদিন সকালে কয়েক কিলোমিটার হাঁটবেন। মনে রাখবেন, যত কিলোমিটার যেতে পারবেন আপনার তত উপকার। আর এক মাস পর আবার আসবেন।
নির্দেশনা নিয়ে বাসায় ফিরলেন দুজন। ফুলবানুকে রোজ সকালে জাগিয়ে দেয় ফুলবানুর গুণধর স্বামী। ফুলবানু ভাবল, একটা রিকশা ঠিক করে গেলে তো প্রতিদিন বেশ কয়েক কিলোমিটার যাওয়া আসা করা যাবে। রিকশা দিয়ে এভাবে রোজ সকালে এক মাস যাওয়া-আসা করল। তারপর ডাক্তারের কাছে গেল।
ফুলবানু : ডাক্তার সাহেব কোনো উপকার পেলাম না। এক মাস ১০ কিলোমিটার যাওয়া আসা করলাম।
ডাক্তার : বলেন কি! এত কিছুর পরও উপকৃত হননি!
ফুলবানু : না, হয়নি। তবে রিকশাওয়ালা বেশ উপকৃত হয়েছে। মাসে আট হাজার টাকা দিয়েছি।
ডাক্তার : কী বলছেন, ঠিক বুঝতে পারলাম না।
ফুলবানু : ডাক্তার সাহেব, আমি রিকশায় রোজ ১০ কিলোমিটার যাওয়া আসা করছি।
ডাক্তারের চোখ কপালে উঠে গেল।