২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

খাল কেটে কুমির আনা

-

পিন্টু স্যার অঙ্কের শিক্ষক। তিনি বরাবরই ক্লাস ফাঁকি দিয়ে ছাত্রদের গল্প শোনান। অন্যান্য দিনের মতো সেদিনও স্যার ক্লাসে এসে বললেন, আজ তোদের পড়া নেই আজ তোদের নতুন একটা গল্প শোনাব।
ছাত্ররা রাজি। কারণ, ছাত্ররাও ভীষণ ফাঁকিবাজ। তবে দু-একটা ব্যতিক্রম আছে। তার মধ্যে চিন্টু একজন।
যা হোক, পিন্টু স্যার গল্প বলা শুরু করলেনÑ একদা এক গ্রামে তিনজনবন্ধু ছিল। ঝন্টু, মন্টু আর পিন্টু। তিনজনের গলায় গলায় ভাব ছিল। দুষ্টুমিতেও ছিল শীর্ষস্থানে। একদিন সকালে বৃষ্টি পড়ছে। ঝন্টু আর মন্টু স্কুলে গেল। ওইদিকে পিন্টু নাকে তেল দিয়ে ঘুম। অঙ্ক ঠিকভাবে করতে না পারায় অঙ্কের স্যার সেদিন ওদের দু’জনকে ভীষণ পেটাল। স্কুল ছুটির পর ঝন্টু আর মন্টু ফন্দি করল কিভাবে পিন্টুকেও মার খাওয়ানো যায়। আর বুদ্ধি পেয়েও গেল। ঝন্টু বলল, চল মন্টু, পিন্টুকে সংবাদটা দেই যে কাল স্যার আমাদের খুব খাইয়েছে। ব্যস, হয়ে যাবে কাজ।
সন্ধ্যাবেলা দু’জনেই পিন্টুর বাড়ি গিয়ে বলল, জানিস পিন্টু, আজ স্কুলে অঙ্কের স্যার আমাদের খুব খাইয়েছে।
পিন্টু বলল, বলিস কী! তোরা একাই খাইলি? কাল স্কুলে গিয়ে আমিও চাইব। তোরা তো স্বার্থপর, আমাকে ছেড়ে খাইছিস।
পরদিন পিন্টু স্কুলে গিয়ে অঙ্কের স্যারকে বলল, স্যার আপনি আমাকে এভাবে ঠকাতে পারলেন?
স্যার বললেন, কেন? আমি কি ঠকিয়েছি?
কাল ঝন্টু মন্টুকে খুব খাইয়েছেন। আজ আমাকেও খাওয়াতে হবে।
স্যার তখন টেবিলের ওপর রাখা বেতটা দিয়ে মারলেন কয়েক। পিন্টু এক দৌড়ে বাইরে এসে বলল, স্যার এই রকম খাবার কি ওরাও খেয়েছে।
স্যার মুচকি হেসে জবাব দিলেন, হ্যাঁ।
তারপর পিন্টু বিড়বিড় করে বলতে লাগল, খাল কেটে কেন যে কুমির আনলাম।
ওদিকে এই গল্প শুনে পিন্টু স্যারের ছাত্র চিন্টু বলল, স্যার আপনি কি সেই পিন্টু?
পিন্টু স্যার হেসে বললেন, হ্যাঁ রে হ্যাঁ।
তাহলে আপনি আজো খাল কেটে কুমির আনলেন।
মানে কী? কী বলিস এসব?
একটু দরজার দিকে তাকান।
পিন্টু স্যার দরজার দিকে তাকিয়ে দেখলেন, স্কুল পরিদর্শনে আসা টিএনও সাহেব দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছেন, ক্লাসে কেমন পড়ানো হচ্ছে। হ


আরো সংবাদ



premium cement