জবাব
- পাভেল হোসাইন ইমরান
- ০১ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০
একদিন বিকেলে পার্কের একটি বেঞ্চে বসেছিলেন ঝাক্কাসদা। তার পাশে একজন সুন্দর রমণী। বিষয়টা আর কিছুই না। একে পটানোর ধান্ধায় মজেছেন সিঙ্গেল ঝাক্কাসদা। অনেক দিন হলো সিঙ্গেল থাকা। এবার একটু মিঙ্গেল হওয়া প্রয়োজন। তাই এত আয়োজন।
Ñ তোমাকে না আজকে দারুণ সুন্দর লাগছে।
Ñ থ্যাঙ্ক ইউ দাদা।
Ñ এই আমি অন্য সবার জন্য দাদা। কিন্তু তোমার জন্য না।
Ñ তাহলে কী ডাকব?
Ñ তুমি আমাকে নাম ধরে ডাকবে। এতটা অধিকার তুমি ছাড়া আর কেউ পাবে না।
(তরুণীটি দাদার কথায় হোঁ হোঁ করে হেসে উঠল)
Ñ তোমার হাসিটা তো অনেক সুন্দর।
Ñ আপনি না কানা হয়ে গেছেন। আজ সব কিছুই আপনার কাছে সুন্দর লাগছে।
Ñ আসলে প্রেমে পড়লে মানুষ কানা লুলা ল্যাংড়া এমনকি বয়রাও হয়ে যায়।
Ñ হোঁ হোঁ হোঁ! আপনি প্রেমে পড়েছেন। কে সেইজন?
দাদা যখনই বলতে যাবেন, মেয়েটা তুমি ঠিক তখনই তাকে বাধা দিলো এক হকার। হকারটা ঠিক দাদাদের সামনে দাঁড়ানো। তার দুই হাতে দুটো বড় বড় কলার মোচা। সে দাদার দিকে তাকিয়ে ভিলেন টাইপ হাসি দিয়ে বলল, স্যার কলা নিবেন, কলা? এক্করে খাঁটি গাছের কলা।
দাদার মেজাজ বিগড়ে গেল। তিনি রেগেমেগে জবাব দিলেন, এই ব্যাটা পার্ক কি কলা বেচার জায়গা? বেচলে বেচবি বাদাম।
হকারটাও কম যায় না। সাথে সাথে জবাব দিয়ে দিলো, পার্ক কি প্রেম করার জায়গা? পার্ক তো জগিং করার জায়গা। যান মিয়া, জগিং করেন।