বিয়ের আলাপন
- জেলী আক্তার
- ২০ জুন ২০১৯, ০০:০০
একমাত্র মেয়ের বিয়ে দেবেন ব্যাপারী। প্রচুর দেখাশোনা হচ্ছে। প্রতিদিন ঘটক পাত্রের ছবি নিয়ে আসছে কিন্তু ব্যাপারীর পছন্দ হচ্ছে না। কত ভালো চাকরি কত বড়লোক তবুও প্রত্যাখ্যান করছে।
একদিন বিকেলে মতলব ঘটক শ’ খানেক ছেলের ছবি, তাদের বাড়ির ছবি, এমনকি চৌদ্দগোষ্ঠীর ঠিকানা নিয়ে হাজির।
মতলব ঘটকের মনে তোলপাড় চলছে। বিয়ে হোক বা না হোক রহস্য উৎঘাটন করাই মতলব ঘটকের একমাত্র কাজ।
মতলব ঘটক এক এক করে সব ছেলের বায়োডাটা দেখাচ্ছে, কিন্তু না, কোনো মতেই পছন্দ হচ্ছে না।
ঘটক : ব্যাপারী সাহেব, আপনি আসলেই কি মেয়ের বিয়ে দেবেন?
ব্যাপারী : অবশ্যই দেবো।
ঘটক : তাহলে কী ধরনের পাত্র আপনার পছন্দ?
ব্যাপারী : আসলে ব্যাপারটা হচ্ছে এই যে, কোনো ছেলের অর্থাৎ পাত্রের মায়ের ডায়াবেটিস বাবার প্রেসার আছে এই ডাটাটা আপনি এখনো দেখাননি তাই পছন্দ করতে একটু সমস্যা হচ্ছে।
ঘটক : এসবের সাথে বিয়ের কী সম্পর্ক?
ব্যাপারী : সম্পর্ক আছে। এই যেমন ধরেন, ঈদ এলে ওদের দাওয়াত করতে হবে আর তখন মেয়ের বাড়ি যাওয়ার সময় নিতে হবে দামি দামি সেমাইয়ের শ’ খানেক প্যাকেট, চিনির বস্তা, কয়েক কেজি বাদাম, কিশমিশ। তা ছাড়া লিটারে লিটারে দুধ আর গরুর গোশত। তাই ভাবছি, বিয়াই-বিয়াইনের ডায়াবেটিস থাকলে মিষ্টি জিনিসের চাহিদা থাকবে না। আর প্রেসার থাকলে গরুর গোশতের চাহিদাও কম থাকবে।
ঘটক; সেজন্য...
ব্যাপারী : হ্যাঁ খরচ কম হবে এ জন্যই পছন্দ করতে এত ঝামেলা।
ঘটক বিড়বিড় করে বলতে লাগল, ভাগ্যিস বোবা বিয়াই-বিয়াইন চান নাই। চাইলে হয়তো কষ্ট করে কথা বলতে হতো না।