অতিরিক্ত বুদ্ধি খরচ
- জেলী আক্তার
- ৩০ মে ২০১৯, ০০:০০
ঈদ উপলক্ষে নাল্টু মিয়া ও তার স্ত্রী (সুন্দরী বেগম) দু’জন মিলেই রাত জেগে জেগে লিস্ট তৈরি করল। প্রচুর কেনাকাটা করতে হবে। লিস্ট তৈরি শেষে দু’জনেই খাবার টেবিলে বসেছে। কিন্তু নাল্টু মিয়া খাবার নাড়াচাড়া করেই চলেছে। একবারো মুখে তুলছে না। তার স্ত্রী ব্যাপারটা ভালোভাবেই খেয়াল করল।
Ñ এই তুমি খাচ্ছো না কেন? কখন থেকে শুধু খাবার নাড়াচাড়াই করছো!
Ñ তোমাকে আজ সুন্দর লাগছে খুব।
Ñ কথা ঘুরিয়ে বলবে না। চুপচাপ খেয়ে নাও। আবার জানি কী চিন্তা ধরেছে। আবার কোনো অঘটন ঘটবে নাকি?
Ñ তুমি জানলে কী করে?
Ñ সেটা জানতে হবে না। কাল শুধু তুমি তোমার অতিরিক্ত বুদ্ধি খরচ করতে যেও না। তাহলেই মার্কেট করায় কোনো অঘটন ঘটবে না।
প্রধান সমস্যা হলো নাল্টু মিয়ার একটু বুদ্ধিশুদ্ধি কম। আরেকটু বুদ্ধি খাটাতে গেলেই অঘটন অনিবার্য। পরদিন দু’জনে মার্কেটে গেল, কেনাকাটা প্রায় অর্ধেক শেষ। নাল্টু মিয়া কোনো কথা বলছে না শুধু সুন্দরী বউকে পাহারা দেয়ার দায়িত্ব পালন করছে। কিন্তু হঠাৎ বুদ্ধির উদয় হলো। ভাবল আমিও সুন্দর একটা শাড়ি কিনে ফেলি বউকে সারপ্রাইজ দেয়া হবে। নাল্টু মিয়া খেয়াল করেছিল বউ সবাইকে ভাই ভাই বলে সম্বোধন করছে। নাল্টু মিয়া ভাবল, আমি শালা বললে সমস্যা নেই। তারপর একটা শাড়ি কিনতে গিয়ে দামাদামিতে বনিবনা হচ্ছে না। নাল্টু মিয়া এক পর্যায়ে বলল, এই শালা বাটপারি শুরু করছিস। এত দাম শাড়ির।
এসব বলার সাথে সাথে ধুপধাপ মাইর শুরু হলো। সুন্দরী বেগম গোলমাল দেখে দৌড়ে গেল। ততক্ষণে নাল্টুর অবস্থা নাজেহাল।
ঘটনা বউ জানতে চাইলে বলল, তুমি সবাইকে ভাই বলেছ। তাই আমি শালা বলছি। তার জন্য আমার এই অবস্থা।
সুন্দরী বেগম গালে হাত দিয়ে বসে পড়ল। আর বিড়বিড় করে বলতে লাগল, অতিরিক্ত বুদ্ধি খরচ করার কি খুব দরকার ছিল!