মহাসাগর
- পাভেল হোসাইন ইমরান
- ০৯ মে ২০১৯, ০০:০০
ঝাক্কাসদা আর তার এক বন্ধু সেদিন নীলক্ষেত থেকে হেঁটে বাড়ি ফিরছিল। পথিমধ্যে ঝাক্কাসদা তার বন্ধুকে বলল, আমি তো দোস্ত শিহরিত।
- কেন, কী হইছে?
- আমি না ভূত দেখতে যাবো।
- তোর মাথায় কি কাঁঠাল পড়ছে? পাগল-টাগল হইছোস? কী বলোস এগুলা?
- আরে সত্যি! আমার গার্লফ্রেন্ড বলল ওদের বাসায় নাকি ভূত আছে। আমাকে একদিন দেখাতে নিয়ে যাবে।
দাদার বন্ধু কোনো জবাব দিলো না। এমন ঘটনায় দাদা যতটা না উচ্ছ্বসিত। তার বিন্দুমাত্র উচ্ছ্বাস দাদার বন্ধুর ভেতর নেই। সে তার মুখের অবয়বে খানিকটা মনমরা ভাব ফুটিয়ে তুললো। তাকে দেখে মনে হচ্ছিল, যেন সেই পৃথিবীর একমাত্র দুঃখী ব্যক্তি। ঝাক্কাসদা তার বন্ধুর ব্যাপার আঁচ করতে পারল। বন্ধুর এহেন কর্মকাণ্ড তার নজর এড়াল না।
দাদা বন্ধুর ঘাড়ে মৃদু চাপড় দিয়ে বলল, কী হইছে তোর?
দাদার বন্ধু মনমরা সুরে জবাব দিলো, আমি তো মনে হয় আর বেশি দিন বাঁচব নারে!
- কেন? এমন মনে হলো?
- আমার না টানা তিন দিন ধরে নাক বন্ধ!
- কস কী ভাই! নিঃশ্বাস নিতে পারোস তো?
- ধুর নাক বন্ধ তো কথার কথা। আসলে নাকের কলকব্জাগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। নাক দিয়ে অনর্গল পানি পড়তেছে।
- কী বললি, নাক দিয়ে পানি পড়ে?
- হ্যাঁ দোস্ত।
- হতচ্ছড়া নাক দিয়ে তোর এত পানি পড়ে। তারপরেও গতকাল কী করলি?
- কী করছি?
- তোর বাসায় নাকি পানি নাই। এই বইলা আমার বাসা থেকে গোসল করে গেলি।
দাদার বন্ধু এবারো নিশ্চুপ। কিন্তু ঝাক্কাসদা চুপ থাকতে পারল না। জলে-তেলে জ্বলে উঠে বলল, ভাই তুই এত পানি জমায় কী করবি? পারসোনাল মহাসাগর বানাবি!