সময়ের মূল্য
- পাভেল হোসাইন ইমরান
- ২৫ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০
অনেক খোঁজাখুঁজি করে ঝাক্কাসদাকে পাওয়া গেল তাদের বাড়ির ছাদের মিটিং রুমে। টেবিলের ওপর চাদর মুড়ি দিয়ে বেচারা ঘুমিয়ে ছিল। আমি ঠেলাঠেলি করে তার ঘুম ভাঙালাম।
- দাদা ঘর-বাড়ি নেই? এখানে ঘুমাও কেন?
- এখন বাসায় থাকলে বিপদ ছিল। আম্মু জোর করে জিমে পাঠিয়ে দিতো।
- দিন দিন হাতি হচ্ছো। জিমে তো যাওয়া উচিত।
- আজ শরীরটা ম্যাজ ম্যাজ করছে। কাল যাবোনে।
আমি ঠিক তখনই আমার মোবাইলে লালন শাঁইজির ‘সময় গেলে সাধন হবে না’ গানটি ছেড়ে দিয়ে মোবাইলটি ঝাক্কাসদার কানের সামনে ধরলাম। তিনি বিরক্ত হয়ে উঠে বসলেন।
- এসব কী হচ্ছে?
- তোমাকে সময়ের মূল্য উপলব্ধি করাচ্ছি।
- মোটিভেশনাল স্পিকার হয়েছিস?
- হ্যাঁ।
- দেখ ভাই এসবের পাঠ অনেক আগেই চুকিয়ে এসেছি। তুই অন্য কোথাও যা।
- কচুটা শিখেছ! কখনো সময়মতো কোনো কাজ করেছ? সময়ের মূল্য দিয়েছ?
- আজকেই তো সময়ের মূল্য দিয়ে আসলাম।
- কিভাবে?
- দুপুরে শ্যামলী গিয়েছিলাম। রাস্তার এপার থেকে ওপারে যেতে হবে। মেইন রোডের ওপরে দৌড় দিয়ে পার হতে সময় লাগত দুই মিনিট। আর ওভার ব্রিজ দিয়ে পাড় হতে সময় লাগত পাঁচ মিনিট।
- তো?
- আমি সময়ের মূল্য বুঝি। তাই সময় বাঁচাতে ওভার ব্রিজে না উঠে মেইন রোড দিয়ে দৌড়ে পার হয়েছি।