ঘুমের ওষুধ
- জেলী আক্তার
- ১১ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০
পয়লা বৈশাখের দিন পাশের বাসার ঝন্টু মিয়া এলো ফজলু ভাইয়ের কাছে। এসে দেখল ফজলু ভাই বেশ আরামে মোবাইল গেম খেলছে। ঝন্টু মিয়া বললÑ ফজলু ভাই, এই বয়সে আপনার কী হলো? বাচ্চা ছেলের মতো মোবাইল গেম খেলছেন।
ফজলু ভাই হাসতে হাসতে বললেনÑ ঝন্টু মিয়া, কী আনন্দ আকাশে বাতাসে!
ভাই আপনি ঠিক আছেন তো। ভাবী কই? আজ পয়লা বৈশাখ ঘুরতে যাবেন না।
ঝন্টু মিয়া, হাসির কারণ বুঝলা না? আজ তো অনেক টাকা বাঁচল, তাই এত খুশিতে আছি।
ভাই আসল ঘটনা খুলে বলেন।
ফজলু ভাই শুরু করলেন তার বিয়ের ঘটনাÑ
কখনো পাত্রী পছন্দ হয় হলে, পাত্রী ফজলু ভাইকে পছন্দ করত না। কখনো ফজলু ভাইয়ের পাত্রী পছন্দ হতো না।
এই পছন্দ নিয়ে বিড়ম্বনায় বেশ কিছুদিন চলছিল। তারপর একদিন মহল্লার একটা মেয়েকে পছন্দ হয়ে গেল। তাকে পটানোর জন্য মেয়েটা যে দোকানে যেত সেই দোকানের সামনে গিয়ে ফজলু ভাই ফোনে কথা বলতেন এমনভাবে, যেন দোকানের মালিক ফজলু ভাই। এভাবে একদিন মেয়েটাকে পটিয়ে ফেলল। বিয়েও করল। আর মেয়েটা হলো রুমা ভাবী।
কথায় আছে পিপীলিকার পাখা হয় মরিবার তরে। এই কথা ভেবে বিয়ের পর আর বউয়ের কাছে বুদ্ধিমত্তা দেখাননি ফজলু ভাই। কারণ অতিরিক্ত বুদ্ধিমত্তা দেখালে ডিভোর্স হতে দেরি হবে না।
ঝন্টু মিয়ার যেন ত্বর সইছে না, বললÑ আসল ঘটনা বলেন।
ফজলু ভাই বললেন, সবুরে মেওয়া ফলে ঝন্টু মিয়া।
এরপর ফজলু ভাইয়ের আসল কথা হলোÑ
গতবার পয়লা বৈশাখে ফজলু ভাইয়ের অনেক টাকা ব্যয় হয়েছে পান্তা-ইলিশ খেতে আর ঘোরাঘুরি করতে। তাই এবার ভাবীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দিয়েছেন। রাত ১১টার দিক ঘুম ভাঙবে। তখন আর বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। তাই এত ফুর্তি।
ঝন্টু মিয়া চোখ দুটো ছানাবড়া করে বলল, আগে বললে তো আমিও ঘুমের ওষুধ খাওয়াইয়া দিতাম।