নাতিশীতোষ্ণ বৃত্তান্ত
- জেলী আক্তার
- ০৪ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০
ফেলু মিয়া নিত্যদিনের মতো সঠিক সময়ে ছাত্রের বাসায় এসে উপস্থিত। পড়তে বসার ঠিক আধঘণ্টা পর ছাত্র জিজ্ঞেস করল, স্যার নাতিশীতোষ্ণ মানে কি?
ফেলু মিয়া সহজভাবে উত্তর দিলো, বেশি শীতলও নয়, বেশি উষ্ণও নয়। সেটাই হলো নাতিশীতোষ্ণ।
কিন্তু ছাত্র সহজ কথাটাকে জটিল করার জন্যই আবার বলল, স্যার জীববিজ্ঞানে যেমন প্রাকটিক্যাল করানো হয় আপনিও তেমন করে দেখান।
এই নিয়ে ফেলু মিয়া মহা মুশকিলে পড়ে গেল। নাতিশীতোষ্ণকে কিভাবে প্রাক্টিক্যালি বুঝাবে? কিন্তু ছাত্র নাছোড়বান্দা। কোনোমতেই ছাড়বে না। তাকে অনেকভাবে বোঝানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হলো ফেলু মিয়া। শেষে ঘরের কোণে রাখা গ্যাসের চুলাটা জ্বালিয়ে দিতে বললো ছাত্রকে। ছাত্র যখন বলল, স্যার গরম লাগছে তখন ফেলুমিয়া বললো ফ্যানের সুইচটা অন করতে। ছাত্র তাই করল। ফেলুমিয়া ছাত্রকে বলল, এখন কেমন লাগছে?
ছাত্র বলল, এখন ঠাণ্ডাও লাগছে না গরমও লাগছে না।
এটাই হলো নাতিশীতোষ্ণ।
ওহ আচ্ছা। স্যার এবার এটা বলেন তো, যে সংসারে ঝগড়া নেই ভাবও নেই সেটা কি নাতিশীতোষ্ণ সংসার?
ফেলু মিয়া ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইল। ছাত্র আবার বলল, স্যার বলেন।
ফেলু মিয়া রাগেই বলে দিলো, এমন উদ্ভট প্রশ্নের জন্য তোমাকে আর প্রাইভেট পড়ানো সম্ভব না।
ছাত্র বলল, স্যার তাহলে তো আপনার পকেটের অবস্থা হবে নাতিশীতোষ্ণ পকেট।
ফেলু মিয়া রাগ করে চলে আসবে এমন অবস্থায় ছাত্র বলল, দুঃখিত স্যার। আমি এই কান ধরছি আর নাতিশীতোষ্ণ নিয়ে মজা করব না। আমি নাতিশীতোষ্ণ ব্যাপারটা আয়ত্ত করেছি। এবার আপনি নাতিশীতোষ্ণ হয়ে বসেন।
ছাত্র শিক্ষক দু’জনেই হেসে উঠল।