স্বর্ণের মোবাইল
- মোস্তফা কামাল গাজী
- ০৭ মার্চ ২০১৯, ০০:০০
আক্কাস ভাইয়ের মোবাইলের নেশা ইদানীং বেড়েছে। যে কাজই করেন, সাথে মোবাইল টেপাটিপি চলবে। উঠতে-বসতে, হাঁটতে-চলতে, খাওয়া-দাওয়া করতে এমনকি গোসলের সময়ও মোবাইলে বুঁদ হয়ে থাকেন। এ নিয়ে সবাই গালমন্দ করলেও গায়ে মাখেন না। তিনি মোবাইল হাতে নিলে লাঠি দিয়ে পেটালেও হয়তো তার মগ্নতা ভাঙবে না। তো সেদিন হলো কী, মোবাইল নিয়ে টয়লেটে ঢুকলেন। কমোডে বসে প্রাকৃতিক কর্ম সম্পাদন করার সাথে চলছিল মোবাইল টেপাটিপি। হঠাৎ হাত ফসকে মোবাইলটা পড়ে গেল কমোডের ভেতর। এত শখের মোবাইলটা হারিয়ে কান্না জুড়ে দিলেন। তার কান্না শুনে আশ্চর্যজনকভাবে জাদুর কাঠি হাতে উদয় হলো একটা পরী। আক্কাস ভাই বেশ অবাক হলেন। ভড়কেও গেলেন খানিকটা। মিষ্টি হাসি দিয়ে পরী জিজ্ঞেস করলÑ ‘এই বালক, কাঁদছো কেন?’
আক্কাস ভাই মনে সাহস নিয়ে ভেজা গলায় বললেন, ‘আমার মোবাইলটা এই কমোডের ভেতর পড়ে গেছে, তাই কাঁদছি।’
পরী বলল, ‘দাঁড়াও এখনই এনে দিচ্ছি।’
এই বলে পরী কমোডের ভেতর অদৃশ্য হয়ে গেল। একটু পর চকচকে সোনালি রঙের একটা মোবাইল নিয়ে কমোড থেকে বেরিয়ে এলো পরীটা। বলল, ‘এই নাও তোমার মোবাইল।’
আক্কাস ভাই দেখলেন এ তো স্বর্ণের মোবাইল। খুশিতে গদগদ হয়ে মোবাইল যেই নিতে যাবেন, অমনি মনে পড়ল কাঠুরিয়া আর জলপরীর গল্পটা। তিনিও কাঠুরিয়ার মতো লোভী না হওয়ার ভান করে বললেন, ‘এ স্বর্ণের মোবাইল তো আমার না। প্লিজ আমারটা এনে দাও।’
পরী ক্ষিপ্ত হয়ে বলল, ‘হারামজাদা, এটা তোরই মোবাইল। বিশ্বাস না হলে ধুয়ে দেখ!’