২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

গরম গরম আইসক্রিম

-

নাল্টু মিয়ার আইসক্রিমের ব্যবসা ছিল। বেশ টাকা-পয়সা ছিল। কিন্তু শীতকাল আসার সাথে সাথে আইসক্রিম বিক্রি বন্ধ। হাতে তেমন টাকা-পয়সাও নেই।
এসব চিন্তায় কয়েক দিন ধরে নাল্টু মিয়ার খাওয়া-দাওয়া বন্ধ। রাতে ঘুম হয় না। কোনো কাজে মন বসে না নাল্টু মিয়ার।
এত কিছু ভাবতে ভাবতে মাথায় বুদ্ধি এলো। পরদিন সকালে গিয়ে দোকান খুলল নাল্টু মিয়া। বড় করে একটা সাইনবোর্ড লিখে টাঙিয়ে দিলো এখানে গরম গরম আইসক্রিম পাওয়া যায়।
রীতিমতো হই হই কাণ্ড রই রই ব্যাপার হয়ে দাঁড়াল। আইসক্রিম আবার গরম গরম। ঘটনা বুঝতে ভিড় পড়ে গেল দোকানে। ছোট-বড় সবাই চলছে গরম গরম আইসক্রিম খেতে।
এই ঘটনা নিয়ে গবেষণা করতে এক বুদ্ধিমিয়া ঢুকে পড়লেন গরম গরম আইসক্রিম খেতে। বুদ্ধিমিয়া ভীষণ চালাক। তিনি যখন গরম গরম আইসক্রিম খেতে যাচ্ছেন, তাহলে নিশ্চয়ই মজার জিনিস হবেÑ এই ঘটনায় আরো হইচই পড়ে গেল। দলে দলে লোক আসা শুরু করল।
কয়েক দিন পর ঘটনার মূল কাহিনী বুঝতে পারলেন বুদ্ধিমিয়া।
আসলে গরম গরম আইসক্রিম বানানোর ওপর করণ হলোÑ ১. চা পাতি, ২. চিনি, ৩. প্রয়োজনীয় মসলা।
খাওয়ার স্টাইল হলো এক গ্লাস কুসুম কুসুম গরম গরম চা একটা প্লাস্টিকের নল দিয়ে আস্তে আস্তে খেতে হবে। বেকুব কাস্টমাররা গরম আইসক্রিম মনে করে চা খেতে লাগল। ব্যাপারটা বুঝতে পেরে বুদ্ধিমিয়া বললেন, তুমি তো চা বানিয়ে সবাইকে খাওয়াচ্ছো হে।
নাল্টু : হ, না, মানে ইয়ে...
বুদ্ধিমিয়া : ঠিক করে বলো। কী না মানে ইয়ে ইয়ে করছো?
নাল্টু : হ বুদ্ধিমিয়া।
বুদ্ধিমিয়া : তাহলে সবাইকে গরম গরম আইসক্রিম বলছো কেন?
নাল্টু : যদি চায়ের দোকান দিতাম বিক্রি কম হতো। কারণ, চায়ের দোকানের অভাব নেই। তাই গরম গরম আইসক্রিম নাম দিয়া চা বেচতাছি। তাতে দ্যাখেন কত ভিড় পইড়া গেছে।
বুদ্ধিমিয়া হেসে বলল, বুঝতে পারলাম। এবার আমাকে গরম গরম এক গ্লাস আইসক্রিম দাও।


আরো সংবাদ



premium cement