ভীমরতি
- শফিকুল ইসলাম শফিক
- ১১ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০
টিভি দেখে বিটুল মিয়া শব্দ অতি বাজে
মাইক বাজে ঘরে যেন সকাল দুপুর সাঁঝে।
কারো কথার ধার ধারে না নিজের মতোই চলে
হায়রে একি মতিগতি লোকে পাগল বলে।
চশমা চোখে টিভি দেখে অন্যরকম নেশা
শুয়ে বসে সময় কাটায় অবসরে পেশা।
পরান ভরে গানটা শুনে দেখে নাটক খবর
সবাই ভাবে হয়তো মনে রঙ লেগেছে জবর।
বোঝে না সে একটুখানি পরের অসুবিধা
বোঝে নিজের সুবিধাটাই হচ্ছে ভারি দ্বিধা।
ছেলেমেয়ের পড়ার তি মন বসে না পাঠে
ইচ্ছে করে পড়ার টেবিল আনতে খোলা মাঠে।
প্রতিবেশী অতিষ্ঠ খুব করবে নালিশ কারে?
মুখটা বুজে সহ্য করি বিফল বারে বারে।
কেমন করে রেহাই পাবে গুনছে তারই দিনও
যে চিনে না তাকে এবার ভালো করে চিনো।
ওই বাড়িটার কারো হাতে দেয় না টিভির রিমোট
সে যা দেখে দেখতে হবে নইলে ঝাড়ি প্রকট।
বুড়ো দাদুর বাড়ছে বয়স বাড়ছে ভীমরতিও
আস্ত সে কী কাণ্ডখানা একটু জেনে নিও।
বুঝত যদি বোঝানো যায় বলব তারে কী আর?
কানে নাকি কমই শোনে পাই না উচিত বিচার।
এক নিমিষে শান্তি হারায় একটি লোকের তরে
আচ্ছা বুড়ো বললে কিছু কথার লাগাম ধরে।
নেইকো ভালো পাড়ার মানুষ ভীষণ গ্যাঁড়াকলে
সেই কথাটা ভেবে কারো সারাটা দিন চলে।