২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

খোকা ভাইয়ের প্রথম প্রেম

-

সব কিছু নতুন। মেসটাও নতুন। এই মেসের পাশে ছাত্রী হোস্টেল। এডমিশনের জন্য মূলত এখানে আসা। বেশ ভালো কেটে যাচ্ছে দিনগুলো। মেসে আমাদের এক বড় ভাই আছেন। তার নাম খোকা। খোকা ভাইয়ের অনেক গুণ। তবু খোকা ভাইয়ের আফসোসের শেষ নেই। তিনি সুন্দর গান করেন। অনেকটা পপসম্রাট আজম খানের মতো। ড্যান্স করতে পারেন ঋত্বিক রোশনের মতো। খোকা ভাই নিজেকে দ্বিতীয় ঋত্বিক দাবি করেন। চমক লাগানো বক্তৃতাও করতে পারেন। এইতো সেদিন নবীনবরণ অনুষ্ঠানে খোকা ভাইয়ের বক্তৃতা শুনে মাহিরা মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিল। মাহিরা আনন্দে নেচে উঠে বলেছিলÑ ওয়াও! কী সুইট কী সাজানো গোছানো ভাষা!
মাহিরার কথা শুনে আমি অবাক হয়ে বললাম, কী রে এত তাড়াতাড়ি গলে গেলি নাকি?
Ñনা না, গলব কেন? তুই একটু বেশি বেশি বলছিস।
Ñনা না বুঝেছি, তুইÑ
Ñথাক, তোর পাশে বসবই না।
Ñযা যা, আমার কথা শুনলি না। পরে বুঝবি।

২.
খোকা ভাই বাঁশিও বাঁজাতে পারেন। রাতে জানালার পাশে বসে বাঁশি বাজান। কী দারুণ সুর! যে শুনবে সেই খোকা ভাইয়ের ভক্ত হয়ে যাবে।
ফেসবুকে ইদানীং খোকা ভাই সেই কবিতা পোস্ট করেন; যা আমার লেখা। এই কবিতা পড়ে মাহিরা আরো ইমপ্রেস হয়ে গেছে খোকা ভাইয়ের প্রতি। সে এখন প্রায়ই আমাকে নক করে। বিষয়টি আমি খুব উপভোগ করি। আমি তার বন্ধু হয়ে যাই। আমি মাহিরার কাছের বলে, ও আমাকে সব কথা বলে। আমি বলিÑ এসব ভাবনা বাদ দিয়ে পড়াশোনা কর। সামনে পরীক্ষা। রেজাল্ট খারাপ হলে কিন্তু আপসোস করবি।
মাহিরা বলেÑ বেশি পক পক না করে তোদের খোকা ভাইয়ের সাথে কবে পরিচয় করিয়ে দিবি, বল।
আমি বললামÑ কাল পরিচয় করিয়ে দেবো।

৩.
আমি খোকা ভাইকে মাহিরার কথা বললাম। খোকা ভাই যারপরনাই খুশি। কারণ এর আগে কোনো মেয়ে তার সাথে কথা বলতে আগ্রহ দেখায়নি। খুশিতে খোকা ভাই সবাইকে মিষ্টি খাওয়ালেন। সকালে কলেজে মাহিরার সাথে খোকা ভাইয়ের পরিচয় করিয়ে দিলাম। পরিচয় হতে পেরে দুইজন খুব খুশি। কলেজের শিমুলতলাতে তারা বসল গল্প করতে। খোকা ভাইয়ের মাথায় ক্যাপ। হঠাৎ প্রচণ্ড ঝড় শুরু হলো। বাতাসে খোকা ভাইয়ের মাথার ক্যাপ উড়ে গেল। সাথে সাথে গোমর ফাঁস। মাহিরা দেখল, খোকা ভাইয়ের মাথার মাঝখানে চুল নেই, টাক।
খোকা ভাইয়ের টাক দেখে মাহিরা কেটে পড়ল। খোকা ভাইয়ের প্রথম প্রেম প্রথম দিনেই শেষ হয়ে গেল। হ


আরো সংবাদ



premium cement