২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

আমার বন্ধু সেলিম

-

সেলিম খন্দকার। আমার বন্ধু। সেই কাস ওয়ান থেকে আমাদের বন্ধুত্ব। শিক্ষাজীবন শেষ করে আমরা এখন যার যার কর্মজীবন নিয়ে ব্যস্ত। কর্মজীবনের সূচনালগ্নেই বৈবাহিক জীবনে প্রবেশ করে সেলিম। কণা ভাবীকে নিয়ে ওর মধুর দাম্পত্য জীবন।
গতকাল সন্ধ্যায় সেলিমের কল। বিনীত গলায় ওপার থেকে জানায়, ‘দোস্ত, আগামী পরশু আমাদের প্রথম বিবাহবার্ষিকী। তোকে আসতেই হবে।’
তৃপ্তির নিঃশ্বাস ফেলে বলি, ‘অবশ্যই আসব’।
কণা ভাবীর সাথে পারিবারিক সিদ্ধান্তে বিয়ে হয়েছে সেলিমের। বিয়ের আগে সেলিমের প্রেম ছিল সেতুর সাথে। ওদের প্রেম যখন চরমভাবে চলছিল তখন একদিন আচমকা সেতু সেলিমকে ছ্যাঁকা দিয়ে বাপ্পীর সাথে ভেগে যায়। প্রিয়তমার এহেন ঘটনায় সেলিম যখন সিগারেটের গণ্ডি পেরিয়ে মদের পেয়ালায় নিজেকে ধীরে ধীরে সঁপে দিচ্ছিল তখন সেলিমের বাবা মা ছেলেকে বিয়ে দেয়ার জন্য পাত্রী খোঁজার মিশনে নামলেন হন্য হয়ে। এক মাসের অভিযান শেষে অবশেষে কণা ভাবীর সাথে সংসার পাতে সেলিম। সেই সংসারের বর্ষপূর্তি আগামী পরশু দিন।

২.
রিকশায় চড়ে বাজারে যাচ্ছি। আড্ডা দিতে নয়। সেলিমের জন্য বিবাহবার্ষিকীর গিফট কিনতে। পথিমধ্যে সেলিমদের বাড়ি অতিক্রম করা লাগে। রিকশা সেলিমদের বাড়ির কাছাকাছি আসতেই কল দিলাম সেলিমকে।
Ñতুই কই সেলিম?
Ñবাজারে।
Ñআমিও বাজারে আসতেছি।
Ñদেখা হবে না দোস্ত। খুব ব্যস্ত আছি।
Ñআচ্ছা।
Ñআমার ম্যারেজ ডে-তে না এলে কিল একটাও মাটিতে পড়বে না কিন্তু।
Ñতোর জন্য কী গিফট আনব দোস্ত? আমি এখন মূলত গিফট কিনতে বাজারে যাচ্ছি।
Ñকিছুই আনতে হবে না।
Ñআরে বল।
Ñনা।
Ñবল না।
Ñআরে লাগবে না কিছুই।
Ñআরে বল।
Ñআচ্ছা তোর যা ভালো লাগে আনিস।
Ñওকে।

৩.
সেকান্দর গিফট সঁপে এসেছি। এখানে অনেক গিফটসামগ্রী। তবে বেশির ভাগ গিফটই শিশুদের। সেলিমের জন্য কী নেয়া যায়! হঠাৎ মনে হলো বডিস্প্রের কথা। যেকোনো বডিস্প্রে সেলিমের পছন্দ। হ্যাঁ, এটাই গিফট করতে হবে।
ভালো কোনো বডিস্প্রে বের করতে বলার পর বিক্রেতা বলল, ‘ভালো কোম্পানির বডিস্প্রে শেষ। বিকেলে আসবে। অর্ডার দিয়েছি। কষ্ট করে বিকেলে আসতে পারবেন?’
বললাম, ‘ঠিক আছে’।
সেকান্দর গিফট শপ থেকে বেরিয়ে এলাম। ভালো বডিস্প্রে যেহেতু বিকেলে আসবে, অতএব বিকেলেই আসি। বাড়ির উদ্দেশে পা বাড়াতেই আম্মার কল।
Ñতুই কি বাজার থেকে চলে এসেছিস?
Ñনা আম্মা।
Ñমনে করে একটা বদনা আনিস। টয়লেটের বদনা ফুটো হয়ে গেছে। ভুলবি না কিন্তু।
Ñআচ্ছা।
অন্য এক দোকান থেকে আরএফএলের মজবুত একটি বদনা কিনে রিকশায় চেপে বসলাম বাড়ির উদ্দেশে। বাজার পার হতেই সেলিমের কল।
Ñতুই বদনা কিনেছিস?
Ñহ্যাঁ। কিভাবে জানলি?
Ñবদনা কিনে দোকান থেকে বের হতেই আমি তোকে দেখেছি। একটা কথা বলব দোস্ত?
Ñকী?
Ñরাগ করবি?
Ñনা।
Ñসত্যি?
Ñহ্যাঁ।
Ñপ্লিজ, তুই কাল বদনা নিয়ে আমাদের বাড়ি আসিস না। ম্যারেজ ডে-তে আমার বন্ধু বদনা গিফট করেছে, এটা জানলে সবাই আমাকে নিয়ে ঠাট্টা করবে। কণা তো করবেই।
Ñহাঁ হাঁ হাঁ।
Ñহাসিস কেন?
Ñধুর, বদনা তোর জন্য না। আমাদের টয়লেটের জন্য।
Ñইয়ে মানে...
পুরো ঘটনা শুনে সেলিম লজ্জা পেয়ে বলল, ‘স্যরি’। হ


আরো সংবাদ



premium cement
রোহিঙ্গাদের আশ্রয়স্থলের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে : পররাষ্ট্র সচিব আড়াইহাজারে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ১৬ শ্রম সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রগতিতে মার্কিন প্রতিনিধিদলের প্রশংসা আইপিএলে রেকর্ড গড়লেন ১৩ বছর বয়সী বৈভব সিলেটে ট্রাক ও বাসচাপায় নিহত ২ মানিকগঞ্জে প্রলোভন দেখিয়ে শাহাবাগে লোক নেয়ার মূলহোতা দবিরসহ আটক ৫ মধ্যাহ্নভোজের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩ উইকেট তুলে নিলো বাংলাদেশ সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলবে কুমিল্লায় ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর নিহত জামায়াতের সাথে ইইউ অন্তর্ভূক্ত ৮টি দেশের প্রতিনিধিদের বৈঠক মনিরামপুরে শ্রমিক দলের সভাপতির উপর হামলা

সকল