নাদিয়া ও রাশেদ সীমান্তর হিল্লা বিয়ে !
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ৩০ এপ্রিল ২০২১, ১১:২৯
নাদিয়াকে হিল্লা বিয়ে করলেন রাশেদ সীমান্ত। ঘটনাটি এলাকার সবার মুখে মুখে। রাশেদের এ হিল্লা বিয়ের ঘটনা বাস্তবে নয়, নাটকে। টিপু আলম মিলনের গল্পে সুবাতা রাহিক জারিফার চিত্রনাট্যে এবং সরদার রোকনের পরিচালনায় বৈশাখী টিভির জন্য নির্মিত হলো ঈদের বিশেষ একক নাটক ‘হিল্লা বিয়ে’। প্রচার হবে ঈদের দিন রাত ৮টা ১০ মিনিটে। নাটকে দেখা যাবে ইয়াকুব রাগের মাথায় তার স্ত্রী তানিয়াকে তালাক দেন এবং পরক্ষণে বুঝতে পারেন এটি তার বড় ভুল হয়েছে। সে তার স্ত্রীকে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেন। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় তার গ্রামের লোকজন। গ্রামের মাতব্বররা সিদ্ধান্ত দেন হিল্লা বিয়ে ছাড়া কোন অবস্থাতেই তার স্ত্রীকে ফেরত পাবে না সে। ঠিক হয় ইয়াকুবের দোকানের কর্মচারী বোকা কিচিমের সুমন বিশ হাজার টাকার বিনিময়ে তানিয়াকে বিয়ে করে আবার তালাক দেবে। কিন্তু সুমন তানিয়াকে বিয়ে করার পর আর তালাক দিতে রাজি হয় না। ইয়াকুব নানা রকম ফন্দি ফিকির করে সুমনের কাছ থেকে তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার। সুমন নাছোর বান্দা সবকিছু ছাড়তে রাজি হলেও তানিয়াকে ছাড়তে নারাজ। শুরু হয় সুমন এবং ইয়াকুবের মধ্যে তানিয়াকে নিয়ে এক যুদ্ধ। ঘটতে থাকে মজার মজার সব ঘটনা। নাটকটিতে সুমন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাশেদ সীমান্ত, তানিয়া চরিত্রে নাদিয়া আহমেদ, ইয়াকুব চরিত্রে অলিউল হক রুমি।
হিল্লা বিয়ে ছাড়াও ঈদের আরেকটি নাটকে অভিনয় করেছেন রাশেদ সীমান্ত। ‘আমি মীর জাফর’ নামের এ নাটকটিও বৈশাখী টিভিতে প্রচার হবে ঈদের তৃতীয় দিন রাত ৮টা ১০ মিনিটে। সুবাতা রাহিক জারিফার চিত্রনাট্যে এবং সাজিন আহমেদ বাবুর পরিচালনায় এ নাটকটিতে আরো অভিনয় করেছেন নীলাঞ্জনা নীলা, খায়রুল বাশার, কাজী উজ্জ্বলসহ অনেকে।
বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজদ্দৌল্লার পরাজয়ে মীর জাফরের বিশ্বাসঘাতকতার কারণে তার নামটি আজ গালি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। মীর জাফর নামের কারণেই প্রতি পদে পদে হেনস্থার শিকার হন নাটকের নায়ক রাশেদ সীমান্ত। কিন্তু নাটকের মীর জাফর মীর জাফর অত্যন্ত ভদ্র এবং মেধাবী একজন মানুষ। যে কিনা সম্প্রতি তার পড়ালেখা শেষ করেছে। মীর জাকির সকলের কাছে খুবই হাসি-তামাশার পাত্রে পরিণত হয়েছে কারণ তার নাম সার্টিফিকেটে ভুলবশত মীর জাকির থেকে মীর জাফর হওয়ার ফলে । ব্যক্তি জীবনে সে খুব সৎ এবং নিষ্ঠাবান হওয়া সত্ত্বেও শুধুমাত্র মীর জাফর নাম হওয়ার কারণে তাকে নানা জায়গায় অপদস্থ হতে হয়। তার ভালোবাসার মানুষ শাহাজাদীও মীর জাফরকে নানাভাবে প্রেসার দিতে থাকে তার নাম পরিবর্তনে। মীর জাফর শাহাজাদীকে বুঝানোর চেষ্টা করে নাম এফিডেভিট করলে অনেক ঝামেলায় পড়তে হবে তাকে। এদিকে শাহাজাদীর বাবা মা তার বিয়ে ঠিক করে এক আমেরিকান প্রবাসির সাথে কিন্তু শাহাজাদী মীর জাফর ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করতে রাজি নয়। শুরু হয় দ্বন্দ্ব। শাহাজাদীর পরিবার থেকে তাদেও সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য একটি সুযোগ দেওয়া হয় যদি মীর জাফর তার নাম পরিবর্তন করে এবং একটি ভালো চাকরী ম্যানেজ করতে পারে তবেই তাদের বিয়ে হবে। মীর জাফর কি নাম পরিবর্তন করতে পারে? শাহাজাদী আর মীর জাফরের কি বিয়ে হয়? জানতে প্রচার দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
রাশেদ সীমান্ত বলেন, ‘হিল্লা বিয়ে’ এবং ‘আমি মীর জাফর’ নাটকের গল্প অসাধারণ, আছে চরিত্রের বৈপরিত্য। সবমিলিয়ে ঈদের এ নাটক দুটির কাজ করে অনেক ভালো লেগেছে আমার। আমার যারা দর্শক তাদেরও নাটক দুটি ভালো লাগবে বলে আমার বিশ্বাস।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা