বৈশ্বিক সঙ্কট নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘দ্যা হ্যান্ডমেইড টেলস’
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৩ ডিসেম্বর ২০২০, ২৩:২৫
দ্যা হ্যান্ডমেইড টেলস (দাসীদের কথা) টেলিভিশন সিরিজটি সমালোচকদের দৃষ্টিতে প্রসংশিত হয়েছে যা প্রায় ৩৮টি এমি পুরস্কার জয় করেছে। এটা ‘বিপরীত সত্যের উপর নির্মিত একটি সৃষ্টিকর্ম । নাট্য নির্মাতা এ সিরিজটিতে জলবায়ু পরিবর্তন, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং শরনার্থীদের বিষয়গুলো বিশদভাবে তুলে ধরেছেন জাতিসঙ্ঘের বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতায়।
দ্যা হ্যান্ডমেইড টেলস (দাসীদের কথা) টেলিভিশন সিরিজটি ১৯৮৫ সালের একটি ধ্রুপদী বইয়ের উপর রচিত। বইটি আমেরিকার অন্যায্য কাজ চাপিয়ে দেয়ার বিষয়ের উপর রচিত যার লেখক মার্গারেট এটউড। এটা পরে (পার্বত্যাঞ্চল ) গিলিড নামে নামকরণ করা হয়। এ দেশটি পাশবিক উন্মাদনার মাধ্যমে চালিত। এখানকার মানুষগুলো বিশেষ করে নারীদের কোনো অধিকার নেই।
গল্পে দেখা যায়, একটি পরিবেশগত বিপর্যয়ের কারণে অধিকাংশ নারী বন্ধ্যা হয়ে যায়। কিছু অল্প সংখক মেয়ে তখনো গর্ভবতী হবার ক্ষমতা রাখত, তাদের জোরপূর্বক দাসী করা হয়। সমাজে উচ্চ শ্রেণীর লোকেরা তাদের লাভ করে এবং তাদের দ্বারা তারা ধর্ষিত হয় বাচ্চা উৎপাদনের জন্য।
এটউড সাক্ষাৎকারে বার বার বলেছেন, বইটিতে যা কিছু বিবৃত হয়েছে পৃথিবীর কিছু ইতিহাসের দৃষ্টিকোন থেকে তা কোথাও না কোথাও হচ্ছে বা হয়েছে । টেলিভিশন সিরিজটির প্রযোজক এটার চতুর্থ পর্ব তৈরী করছেন। তিনি বইটির বক্তব্য সম্পর্কে অবগত এবং তিনি বইটির বিষয়বস্তু উপস্থাপনে তিনি যত্নবান।
চিত্রনাট্যকার ডরোথি ফর্টেরবেরি সিরিজটির সহকারী প্রযোজক এবং লেখক। তিনি ইউএন নিউজকে বলেন বইটি ১৯৮০ সালকে প্রতিফলিত করেছে যা পরিবেশগত বিপর্যয় এবং পারমাণবিক দুর্ঘটনা নিয়ে লেখা। গিলিড সিরিজটির লেখকরা মনে করেছেন পরিবেশ গত বিপর্যয়ের পরিপ্রেক্ষিতে সমাজের ভাঙ্গনকে চিত্রিত করা।
আমরা গবেষণা করে দেখেছি কিভাবে উচ্চ তাপমাত্রা এবং প্লাস্টিক দূষণ সন্তান ধারণের ক্ষমতার উপর কেমন বিরূপ প্রভাব ফেলে এবং বিভিন্ন জলবায়ু কেন্দ্রিক রোগের সূত্রপাত ঘটায়। আমরা সিরিজটির মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ের বাস্তবতা তুলে ধরতে চাই।
সূত্র : ইউএননিউজ
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা