প্রযোজকদের ১০০ কোটি টাকা কে দিবে
- আলমগীর কবির
- ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৬:২৭, আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৬:৩২
দিনকে দিন মান হারাচ্ছে দেশীয় টিভি নাটক। এ জন্য সংশ্লিষ্টদের নানা অভিযোগ করা হলেও সুরাহা হচ্ছে না। এক বিভাগ আরেক বিভাগের উপর দায়িত্ব চাপিয়েই সমাধান খোঁজার চেষ্টা করছেন অনেকে। কিন্তু বৃহস্পতিবার ‘টেলিভিশন প্রডিউসারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশে (টেলিপ্যাব)’ কর্তৃক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে জানা গেল অন্য খবর।
টেলিভিশনে নাটক চালানোর পর প্রজোকদের দেয়া হয়না পাওয়া টাকা। এ নিয়ে অভিযোগ করতে গেলে মালিক পক্ষ থেকে দেয়া হয় হুমকি। আর এ জন্যই ভালো নাটক নির্মানে বিনিয়োগ করতে উৎসাহ পাচ্ছেন না প্রয়োজকরা। সাম্প্রতিক সময়ে এসে প্রযোজকদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে যাওয়ায় সংবাদ সম্মেলন করতে বাধ্য হয়েছেন তারা। যেখানে বলা হয়, বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোর কাছে প্রযোজকদের বকেয়া জমেছে ১০০ কোটি টাকার উপরে।
ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টেলিপ্যাব এর সভাপতি মামুনুর রশীদ ও সাধারণ সম্পাদক ইরেশ যাকেরসহ পাওনাদার প্রযোজকরা। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই চ্যানেলগুলোকে প্রযোজকদের বকেয়া পরিশোধ করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
সংগঠনের সভাপতি মামুনুর রশীদ বলেন, ‘এর আগেও চ্যানেলের কাছে বহু টাকা আটকা পড়েছিল। আমরা সেই টাকা অনেক কষ্ট করে আদায় করেছি। এবারও প্রযোজকদের প্রায় ১০০ কোটি টাকার মতো আটকে আছে। অনেক চেষ্টা করেও সেই টাকা আমরা উদ্ধার করতে পারছি না। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগীতা চাইছি। তার হস্তক্ষেপ কামনা করছি এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে। তিনি যেনো বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করেন। তাহলে হয়তো এই সমস্যার সমাধান হতে পারে।’
চ্যানেলগুলোতে গেল কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিক, খণ্ড নাটক এবং টেলিফিল্ম প্রচার হয়েছে। কিন্তু সেই সবের জন্য বেশিরভাগ টাকা পাননি সংশ্লিষ্ট প্রযোজকরা। অনেক নির্মাতা ও প্রযোজকদের সঙ্গে নানারকম তিক্ত ঘটনারও জন্ম দিয়েছে বেশ কিছু টিভি চ্যানেল। দফায় দফায় চিঠি চালাচালি ও মিটিং করেও কোনো সুরাহা পাননি অনেক প্রযোজক। অনেকেই বাধ্য হয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন ধারাবাহিক নাটক ও অনুষ্ঠানের প্রচার। আবার কিছু কিছু ধারাবাহিকের পুনঃপ্রচারও চলছে। অথচ সেই নাটকে লগ্নিকৃত টাকাই পরিশোধ করেনি টিভি চ্যানেল।
ভোক্তভোগী একজন প্রযোজকের নাম নাহিদ নিয়াজী রিপন। তিনি বলেন, ‘আমি একুশে টেলিভিশনের কাচে ১ কোটি ১২ লক্ষ টাকা পাই। এই চ্যানেলটিতে আমার ‘বিদেশী পাড়া’, ‘পঞ্চ প্রেমিক’ ও ‘শেয়ার বাজার ডট কম’নামের তিনটি নাটক প্রচার হয়েছে। কিন্তু একটিরও টাকা পরিশোধ করেনি কর্তৃপক্ষ। একজন সাংবাদিক নেতা এখন চ্যানেলটির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি আমাদেরকে এটি প্রধানমন্ত্রীর চ্যানেল বলে হুমকী দিয়ে পাওয়া টাকা না দেয়ার পায়তারা করেছেন। (উল্লেখ্য হুমকী দেয়ার অডিও রেকর্ড নয়া দিগন্তের কাছে রয়েছে।
এছাড়া একই চ্যানেলে ১৩ লক্ষ ৫ হাজার টাকা বাকী রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শফিকুল ইসলাম রিপন নামের আরেকজন প্রযোজক। তার নাটক ‘সুখে থাকলে ভূতে কিলায়’নামের ৩২ পর্বের নাটকটি চ্যানেলে প্রচার হয়েছে। এজন্য কর্তৃপক্ষের সাথে ১৭ লাখ টাকা চুক্তি করা হলেও হাতে পেয়েছেন মাত্র ৪ লাখ টাকা। বাকী টাকা দেয়ার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ উদাসীন। এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে প্রযোজকদের পাওয়ান টাকা কে দিবে।
এদিকে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইরেশ যাকের বলেছেন, আগামী একমাসের মধ্যে যদি পাওয়া টানা না দেওয়া হয় তবে বড় ধরনের কর্মসূচীতে যাবে তাদের সংগঠন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা