আবারো দুই দিনের রিমান্ডে অভিনেত্রী নওশাবা
- আলমগীর কবির
- ১০ আগস্ট ২০১৮, ১৮:৪০, আপডেট: ১১ আগস্ট ২০১৮, ১৪:০৭
অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদকে আবারও দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত সিসিমপুর অনুষ্ঠানে কাজ করে তিনি দেশ ব্যাপী পরিচিত পান।
শুক্রবার (১০ আগস্ট) চার দিনের রিমান্ড শেষে নওশাবাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আমিরুল হায়দার চৌধুরী দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে রোববার (৫ আগস্ট) ঢাকা মহানগর হাকিম মাজহারুল হকের আদালতে হাজির করে ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনে নওশাবার সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার থানার উপ-পরিদর্শক বিকাশ কুমার পাল। অপরদিকে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার এজহার থেকে জানা যায়, শনিবার (৪ আগস্ট) কাজী নওশাবা নিজের ফেসবুক থেকে অত্যান্ত আবেগী কণ্ঠে লাইভ ভিডিও সম্প্রচার করে বলে যে, ‘জিগাতলায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করিয়া এক জনের চোখ উঠাইয়া ফেলেছে এবং চারজনকে মেরে ফেলেছে। আপনারা যে যেখানে আছেন কিছু একটা করেন।’
তার এ আহ্বান মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়। এতে জনমনে আতঙ্ক ও বিদ্বেষ ছড়ে পড়ে। বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা তার এই মিথ্যা প্রোপাগান্ডার উৎস জানতে ফোন করলে তিনি তার স্বপক্ষে সঠিক কোনো উত্তর দিতে পারেননি। ওই সময় জিগাতলায় এ ধরনের কোনো ঘটনাও ঘটেনি।
এ ঘটনায় রোববার (৫ আগস্ট) র্যাব-১ এর ডিএপি আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ সালের ৫৭(২) ধারায় রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলাটি করেন।
আরো পড়ুন : অভিনেত্রী নওশাবা ৪ দিনের রিমান্ডে
নিজস্ব প্রতিবেদক (৫ আগস্ট)
রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় তথ্য প্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদকে চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তদন্ত কর্মকর্তা সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। অন্যদিকে রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মাজাহারুল হক চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করে র্যাব। মামলা নং-৮। শনিবার (৪ আগস্ট) রাজধানীর উত্তরার বাসা থেকে তাকে আটক করে র্যাব সদস্যরা।
উল্লেখ্য, শনিবার বিকেলে ধানমন্ডিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্বৃত্তের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় ফেসবুক লাইভে হাজির হয়েছিলেন ঢাকা অ্যাটাক চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী কাজী নওশাবা। সে সময় ফেসবুক লাইভে ওই ঘটনায় চারজন নিহত ও চারজন ধর্ষণের ঘটনার কথা তুলে ধরে সেখানে যারা আটকে আছেন তাদের বাঁচানোর অনুরোধ করেন তিনি।
তবে ওই ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়নি। পরে জানা যায় মৃত্যুর খবরটি গুজব। নওশাবার লাইভ দেখে অনেকেই মনে করেন এ অভিনেত্রী ঘটনা স্থলের আশপাশে থেকেই লাইভে এসেছেন। তার লাইভে আসার ভিডিওটি অল্প সময়ের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়।
আরো পড়ুন : ফেসবুকে গুজব ছড়ানোয় নওশাবাকে অাটক
বিনোদন প্রতিবেদক (০৪ আগস্ট ২০১৮)
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদকে আটক করেছে র্যাব। র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। শনিবার (৪ আগস্ট) রাজধানীর উত্তরা থেকে তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শনিবার বিকালে ফেসবুক লাইভে কাজী নওশাবা দাবি করেন, রাজধানীর জিগাতলায় একজন শিক্ষার্থীর চোখ তুলে ফেলা ও চার শিক্ষার্থীকে মেরে ফেলা হয়েছে। তবে খোঁজ নিয়ে তার এসব তথ্যের কোনও সত্যতা পাওয়া যায়নি। এ কারণে বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
জিগাতলায় সংঘর্ষের এক ঘটনার জেরে ফেসবুক লাইভে হাজির হয়েছিলেন ঢাকা অ্যাটাক চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী কাজী নওশাবা। শনিবার বিকেলে ধানমন্ডিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্বৃত্তের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সে সময় ফেসবুক লাইভে ওই ঘটনায় চার জন নিহত ও চার জন ধর্ষণের ঘটনার কথা তুলে ধরেন ও সেখানে আরও যারা আটকে আছেন তাদের বাঁচানোর অনুরোধ করেন তিনি।
তবে ওই ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়নি। পরে জানা গেছে এই মৃত্যুর খবরটি গুজব। নওশাবার লাইভ দেখে অনেকেই মনে করেছেন এ অভিনেত্রী ঘটনা স্থলের আশে পাশে থেকেই লাইভে এসেছেন।
তার লাইভে আসার ভিডিওটি অল্প সময়ের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। এ বিষয়ে নওশাবার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেছিলেন, ' সে সময় আমি ধানমন্ডিতে ছিলাম না, ছিলাম উত্তরায়। এক বন্ধুর কাছ থেকে ঘটনাটি শুনেই লাইভ আসি। খবরটি শোনার পর ভীষণ আতঙ্কিত হয়ে গিয়েছিলাম।
আন্দোলনের শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে ছিলাম। তাদের কয়েকজনের সঙ্গে পরিচয়ও ছিল। এদেরই একজন আমাকে ফোন দিয়ে এই খবরটি জানায়। এরপর লাইভে ঘটনাটি সবাইকে জানিয়েছি। আমি এর বেশি আর কিছু বলতে পারব না।'
প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের অদূরে বিমানবন্দর সড়কে (র্যাডিসন হোটেলের উল্টোদিকে) বাসচাপায় রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজিব নিহত হয়। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট চালকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতকরণ ও নৌমন্ত্রীর অনৈতিক বক্তব্যের প্রতিবাদসহ ৯ দফা দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা। নিরাপদ সড়কের দাবিতে টানা সপ্তম দিনের মতো আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা