কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে প্রতারণা বাড়ছে
- আহমেদ ইফতেখার
- ০৬ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) মাধ্যমে আপনার যেকোনো প্রশ্নের উত্তর পেতে পারেন। সবচেয়ে অভিনব হলো প্রচলিত কম্পিউটার সফটওয়্যার বা অ্যাপলিকেশনের বাইরে গিয়ে সেখানে সে নিজের মতো বুদ্ধিমত্তা বা মানবিকতার ছোঁয়াও দিতে পারে। গত বছরের নভেম্বরে তৈরি হওয়ার পর সারা বিশ্বেই এখন চ্যাটজিপিটি নিয়ে একটা আগ্রহ তৈরি হয়েছে। শুধু জানুয়ারি মাসেই বিশ্বের প্রায় ১০ কোটি মানুষ চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করেছে। এআই প্রযুক্তি চালুর পর প্রযুক্তিনির্ভর প্রতারণার ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি দ্রুত উন্নত হওয়ায় এআই চ্যাটবটের মাধ্যমে প্রতারকেরা সহজেই বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা করছে বলে সবাইকে সতর্ক করেছেন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্বজুড়ে এআই প্রযুক্তি আমাদের অনেক কাজকে সহজ করেছে। ইমেইল লেখা থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজ করে নেয়া যায় এআইয়ের মাধ্যমে। শুধু তা-ই নয়, এআই টুল ব্যবহার করে ভিডিও ও গানের সুরও তৈরি করেন কেউ কেউ। বিভিন্ন কাজ সহজে করা গেলেও এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতারণার ঘটনাও বাড়ছে সমানতালে।
এআইয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ইমেইল বার্তা পাঠিয়ে প্রতারণা করে থাকে সাইবার অপরাধীরা। এসব ইমেইল বার্তায় সাধারণত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পণ্য ও সেবা কম দামে দেয়ার পাশাপাশি পুরস্কার জেতার প্রলোভন দেখানো হয়। এরপর বিস্তারিত জানতে লিংক বা অ্যাটাচমেন্ট ফাইল খোলার কথা বলা হয়। আর এসব লিংকে ক্লিক করলে বা অ্যাটাচমেন্ট ফাইল চালু করলেই ফোনে বা কম্পিউটারে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করিয়ে তথ্য চুরি করে নিচ্ছে।
সাইবার অপরাধীরা এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে এখন ভুয়া ভিডিও তৈরি করছে, যা ডিপফেক ভিডিও নামে পরিচিত। এসব ভিডিওতে নির্দিষ্ট ব্যক্তির অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নড়াচড়া করার পাশাপাশি কণ্ঠস্বর ব্যবহার করায় অনেকেই বুঝতে পারেন না যে এটি নকল ভিডিও। ফলে বিভ্রান্তি হওয়ার পাশাপাশি প্রতারণার ঘটনাও ঘটছে।
ভিডিও ছাড়াও কণ্ঠ নকল করে প্রতারণার ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে এআই। কারণ, এখন খুব সহজেই যেকোনো ব্যক্তির কয়েক সেকেন্ডের কথোপকথনের তথ্য সংগ্রহ করে এআই টুলের মাধ্যমে হুবহু নকল কণ্ঠ তৈরি করা যায়, যা ‘ভয়েস ক্লোন’ নামে পরিচিত। এআই টুল দিয়ে তৈরি এসব নকল কণ্ঠ প্রায় নিখুঁত হওয়ায় সহজে শনাক্ত করা যায় না। ফলে নির্দিষ্ট ব্যক্তির কণ্ঠ নকল করে তার পরিচিতদের কাছে অর্থ চাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্নভাবে প্রতারণা করে থাকে সাইবার অপরাধীরা।
এআই চ্যাটবট সত্যিকারের মানুষের মতোই অন্যদের সাথে ফোনকল বা বার্তার মাধ্যমে কথোপকথন চালাতে পারে। আর তাই ব্যবহারকারীদের বোকা বানাতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তৈরি এআই চ্যাটবটের মাধ্যমে ভালোবাসার প্রলোভন দেখিয়ে রোমান্স স্ক্যাম ও ফিশিং হামলার প্রবণতা বাড়ছে। এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহের পাশাপাশি তাদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে বড় ধরনের সাইবার হামলা চালাচ্ছেন সাইবার অপরাধীরা।
সাইবার অপরাধীরা এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই যেকোনো ব্যক্তির কণ্ঠস্বর নকল করে সেই ব্যক্তির পরিচিতদের ফোন করে অর্থ সংগ্রহসহ বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা করছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা