তরুণদের মানসিক অসুস্থতার পেছনে সোশ্যাল মিডিয়া দায়ী
- প্রযুক্তি ডেস্ক
- ০৬ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ‘মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবার অগ্রগতিতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার’ শীর্ষক একটি গোলটেবিল বৈঠকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেন, দেশের তরুণদের মানসিক অসুস্থতার পেছনে ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব, টিকটকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া দায়ী। এগুলোর আসক্তি কমাতে অর্থসহায়তার নামে লোকদেখানো কার্যক্রম নয়, আসক্তিমুক্তির ক্ষেত্রে তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা দরকার।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে এখন সাড়ে পাঁচ কোটি থেকে ছয় কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারী। ফেসবুকের অ্যালগরিদম এমনভাবে তৈরি করা, যাতে আমাদের তরুণ-তরুণী, কিশোর-কিশোরীরা প্রভাবিত হয়। ব্যবহারকারীরা মনের অজান্তেই বিভিন্নভাবে নেতিবাচক (নেগেটিভ) কনটেন্টে আসক্ত হচ্ছে।’ সারা দেশে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম আরো জোরদার করার জন্য ইউএনডিপি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) ও মানসিক স্বাস্থ্যসেবা উদ্যোগ (স্টার্টআপ) মনের বন্ধু এই বৈঠকের আয়োজন করে। ডেটাবিজ্ঞানী ও মনোবিজ্ঞানীদের সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান জুনাইদ আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘এ সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য উচ্চপ্রযুক্তির মেন্টাল হেলথ জিপিটি (জেনারেটিভ প্রিট্রেইনড টান্সফরমারস) তৈরি এবং এর মাধ্যমে দেশের ১৪ হাজার কমিউনিটি স্বাস্থ্য ক্লিনিক ব্যবহার ও ৩৫০ সংসদ সদস্যকে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। আমরা ইচ্ছা করলেই পুরো পৃথিবীর সব নেগেটিভ কনটেন্ট (আধেয়) এক সাথে মুছে ফেলতে পারব না। সাইবার বুলিং নিশ্চিহ্ন করতে পারব না। কিন্তু সবাইকে মানসিক স্বাস্থ্য, ডিজিটাল ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা স্বাক্ষরতা (এআই লিটারেসি) নিয়ে সচেতন করতে পারব। এ জন্য সরকার-বেসরকারি খাত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমকে একসাথে কাজ করতে হবে।’ বিসিসির নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকের সঞ্চালক এবং মনের বন্ধুর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদা শিরোপা বলেন, ‘প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আমরা তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ এবং স্টার্টআপ বাংলাদেশের তত্ত্বাবধানে উচ্চতর প্রযুক্তি ও এআইয়ের সহায়তায় সর্বস্তরের মানুষের কাছে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা চাই, সবার সহযোগিতায় বাংলাদেশ সরকারের ‘জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য বাস্তবায়ন পরিকল্পনা (২০২৪-২৯)’-এর আলোকে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি করতে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা