গুগল ড্রাইভ স্টোরেজ ব্যবহারের ট্রিকস

আপনার গুগল অ্যাকাউন্টে ১৫ জিবি ফ্রি স্টোরেজ দেয়া হলেও কিছু দিন পরপর ‘স্টোরেজ ফুল’ নোটিফিকেশন পেয়ে থাকেন। ফোনে জমতে থাকা ইমেইল, ছবি, ভিডিও কিংবা বিভিন্ন ফাইল দ্রুত এই সীমা পূর্ণ করে ফেলে। ব্যবহারকারীরা অনিচ্ছা সত্ত্বেও অনেক দরকারি তথ্য মুছে ফেলতে বাধ্য হন। কিন্তু সঠিক ব্যবস্থাপনা ও কয়েকটি কৌশল ব্যবহার করে এই ১৫ জিবি স্টোরেজ দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার করা সম্ভব, কোনো অতিরিক্ত খরচ ছাড়াই।
গুগল ড্রাইভ স্টোরেজ খালি করার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো বড় ফাইল, ছবি ও ভিডিও চিহ্নিত করে মুছে ফেলা। হয়তো স্টোরেজে ৪ কে ভিডিও, উচ্চ রেজল্যুশনের ছবি বা জিপ ফাইল থাকতে পারে, যেগুলো স্টোরেজের বড় অংশই দখলে রাখে। এসব ফাইল চিহ্নিত করতে গুগল ড্রাইভের স্টোরেজ মেনু সাহায্য করে। এর জন্য যেকোনো ব্রাউজার থেকে গুগল স্টোরেজে গিয়ে বাম দিকে থাকা স্টোরেজ অপশনে ক্লিক করতে হবে। সেখানে সব গুগল ড্রাইভ ফাইল আকারে সাজানো থাকবে এবং সবচেয়ে বড় ফাইলগুলো উপরে থাকবে। এগুলো স্ক্রল করে দেখে প্রয়োজন নেই এমন ফাইলগুলো নির্বাচন করুন, ওপর থেকে থ্রি ডট আইকনে ক্লিক করুন এবং মুভ টু বিন অপশনটি নির্বাচন করুন। এর পর বিন থেকেও মুছে দিতে হবে।
জিমেইলে থাকা ইমেইল ও অ্যাটাচমেন্টগুলো আপনার অ্যাকাউন্ট স্টোরেজের অংশ হিসেবে গণ্য হয়। তাই বড় অ্যাচাটমেন্টের ইমেইল ডিলিট করে স্টোরেজ খালি করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে জিমেইল খুলে সার্চ বারে লিখতে হবে : has:attachment larger:10M, এটি ১০ এমবির বেশি আকারের অ্যাটাচমেন্ট থাকা সব ইমেইল দেখাবে। এবার তালিকা থেকে অপ্রয়োজনীয় মেইলগুলো ডিলিট করে ফেলতে হবে।
বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপের মিডিয়া ফাইল যেমন- ভিডিও, ছবি, অডিও গুগল ড্রাইভ স্টোরেজে জমা হয়। ফলে এটিও স্টোরেজ পূর্ণ করে ফেলতে পারে। হোয়াটসঅ্যাপ স্টোরেজ থেকে ভিডিও ডিলিট করতে অ্যাপটি খুলে উপরের ডান কোনায় থ্রি ডট আইকনে ক্লিক করে সেটিংস নির্বাচন করতে হবে। সেখান থেকে চ্যাটস > চ্যাট ব্যাকআপে গিয়ে ‘ইনক্লুড ভিডিওজ’ অপশনটি বন্ধ করতে হবে।
তবে বড় ফাইল বা পুরোনো ব্যাকআপ মুছে ফেলার পরও গুগল ড্রাইভ স্টোরেজ সময়ের সাথে আবার পূর্ণ হতে পারে। এক্ষেত্রে স্টোরেজ ম্যানেজারের ক্লিনআপ পরামর্শ ব্যবহার করা যায়। গুগল ড্রাইভের স্টোরেজ মেনুতে গিয়ে ‘ক্লিনআপ স্পেস’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। সেখানে থাকা স্প্যাম ইমেইল, বিনের ফাইলসহ প্রস্তাবিত আইটেমগুলো দেখে প্রয়োজন নেই এমন ফাইল মুছে ফেলতে হবে। আলাদাভাবে জিমেইল বা গুগল ফটোজ থেকে বেশি স্টোরেজ পূর্ণ করছে, এমন এলাকাগুলোও পরিষ্কার করা যাবে।
গুগল ওয়ান ব্যবহার করে আপনি আপনার স্টোরেজের বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। এতে কোন ফাইল বা ফোল্ডার কত জায়গা নিচ্ছে তা জানা সম্ভব হয়। ফলে অপ্রয়োজনীয় ফাইলগুলো সহজেই চিহ্নিত করে মুছে ফেলতে পারবেন। এ ছাড়া, আপনি চাইলে গুগল ওয়ান থেকে অতিরিক্ত স্টোরেজ সাবস্ক্রাইব করে নিতে পারেন।