১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

দেশের আইসিটি খাতের উন্নয়নে হুয়াওয়ের উদ্যোগ

-

দেশের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) খাতের উন্নয়নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ডিজিটাল অর্থনীতিসংশ্লিষ্ট অংশীজন ও সরকারের আইসিটি বিভাগের সাথে তিনটি নতুন উদ্যোগের ঘোষণা দিয়েছে চীনা টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। গত বুধবার রাতে ঢাকার গুলশানে হুয়াওয়ের নতুন কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই তিন উদ্যোগের ঘোষণা দেয়া হয়।
‘বাংলাদেশে, বাংলাদেশের জন্য’ স্লোগান নিয়ে নতুন উদ্যোগগুলো এনেছে হুয়াওয়ে। উদ্যোগগুলোতে বাংলাদেশের বুদ্ধিবৃত্তিক উন্নয়নকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। হুয়াওয়ের উদ্যোগগুলো হলো প্রয়োজনীয় আসবাব ও সরঞ্জামাদি প্রদান করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বুদ্ধিমান শ্রেণিকক্ষ (ইন্টেলিজেন্ট ক্লাসরুম) চালু, আইসিটি ডিভিশনের সাথে যৌথভাবে উদ্ভাবনী (ইনোভেশন) ল্যাব স্থাপন ও দেশের অর্থনৈতিক খাতের পেশাজীবী, বিশেষজ্ঞ, গবেষণাকর্মী ও শিক্ষকদের জন্য ‘চীন-বাংলাদেশ ফিনটেক বিনিময় কর্মসূচি’র সূচনা।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আমি মনে করি, চীন ও বাংলাদেশ দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে এবং তা আরো উন্নত হচ্ছে। ঢাকায় হুয়াওয়ের দক্ষিণ এশিয়ার সদর দফতর দেখে আমি আনন্দিত হয়েছি।’ বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘বিশ্বের শীর্ষ তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) অবকাঠামো প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে হুয়াওয়ে বাংলাদেশে ২৬ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে চলেছে। হুয়াওয়ে বাংলাদেশের আইসিটি খাতকে টুজি থেকে শুরু করে ফাইভজিতে উন্নীত করতে নেতৃত্ব দিয়েছে।’

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মো: এমদাদ উল বারী বলেন, হুয়াওয়ে বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত অগ্রযাত্রায় বিশ্বস্ত সহযোগী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। বিশেষ করে দেশের প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে সংযোগ সম্প্রসারণে হুয়াওয়ের অবদান প্রশংসনীয়। এই আয়োজনে আরো বক্তৃতা করেন আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: মহিউদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন হুয়াওয়ে দক্ষিণ এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্যান জুনফেং।

 


আরো সংবাদ



premium cement