পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি : পর্বসংখ্যা-৩০, বিজ্ঞান
চতুর্থ অধ্যায় : বায়ু- নূরুন নাহার লাকী, সহকারী শিক্ষক, বাহরাম খান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাকুন্দিয়া, কিশোরগঞ্জ
- ১৮ জুলাই ২০২৩, ০০:০৫
সুপ্রিয় পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বন্ধুরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। আজ তোমাদের বিজ্ঞান বিষয়ের ‘চতুর্থ অধ্যায় : বায়ু’ থেকে আরো ২টি বর্ণনামূলক প্রশ্ন ও ১টি অধ্যায়ভিত্তিক কাজের সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হলো।
বর্ণনামূলক প্রশ্ন
প্রশ্ন : ধূমপান ক্ষতিকর কেন?
উত্তর : ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। ধূমপানের ফলে মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হয়। যেমন- ফুসফুসের ক্যান্সার, যক্ষ্মা, ব্রঙ্কাইটিস, দন্তক্ষয়, ক্ষুধামন্দা, গ্যাস্ট্রিক, আলসার, হৃদরোগ ইত্যাদি। এ ছাড়া সিগারেট, চুরুট, বিড়ি, হুক্কা ইত্যাদির মধ্যে তামাক থাকে, যা নিকোটিন নামক এক প্রকার বিষে ভরা। এগুলো থেকে নিকোটিন মানুষের শরীরে প্রবেশ করে ধীরে ধীরে মানুষের শরীরে ভেতরের ফুসফুসের ক্ষতি করে। বিভিন্ন বিজ্ঞানীর মতে, এক একটা জ্বলন্ত সিগারেট থেকে কমপক্ষে চার হাজার বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ নির্গত হয়, যা মানুষের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। বিশেষ করে কেউ বদ্ধঘরে ধূমপান করলে সেই ঘরে থাকা মানুষের আরো বেশি ক্ষতি হয়। তাই ধূমপান মানুষের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
প্রশ্ন : দূষিত বায়ু কী? দূষিত বায়ুর চারটি ক্ষতিকর দিক লিখ।
উত্তর : বায়ুতে রোগজীবাণু, ধূলিকণা, দূষিত গ্যাস ইত্যাদি মিশ্রিত হয়ে বায়ুকে দূষিত করে। বায়ুর স্বাভাবিক উপাদানের পরিবর্তন হলে আমাদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বায়ুর স্বাভাবিক উপাদান পরিবর্তন হওয়াকে দূষিত বায়ু বলে। বায়ু প্রধানত দূষিত হয় মানুষের কর্মকাণ্ডের ফলে। বায়ু মানুষের বিভিন্ন ক্ষতি করে। নিচে বায়ুর ক্ষতিকর দিক বর্ণনা করা হলো-
১. দূষিত বায়ু মানুষের শ্বাসকার্যে ব্যাঘাত ঘটায়।
২. দূষিত বায়ুতে কার্বনডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেশি থাকে। ফলে মানুষের অত্যধিক গরম লাগে।
৩. দূষিত বায়ুর কারণে অ্যালার্জি, কাশি, হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস, উচ্চ রক্তচাপ, মাথাব্যথা, ফুসফুসের ক্যান্সার ইত্যাদি মারাত্মক রোগ হতে পারে।
৪. দূষিত বায়ুর ফলে এসিডবৃষ্টি হয়। এসিডযুক্ত বৃষ্টি সব জীবের জন্য ক্ষতিকর।
অধ্যায়ভিত্তিক কাজের সমাধান
প্রশ্ন : মানুষ দৈনন্দিন জীবনে কী কী কাজে বায়ু ব্যবহার করে?
উত্তর : মানুষ দৈনন্দিন জীবনে যেসব কাজে বায়ু ব্যবহার করে তা হলো-
১. ফুটবল ফোলানোর কাজে।
২. শ্বাস-প্রশ্বাসের কাজে বায়ুর উপাদান অক্সিজেন ব্যবহার করে।
৩. গাড়ি, রিকশা বা সাইকেলের টায়ার ইত্যাদি ফোলানোর কাজে।
৪. মাছ, গোশত, চিপস ইত্যাদি সংরক্ষণে বায়ুর নাইট্রোজেন ব্যবহার করে।