পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি : পর্বসংখ্যা-২০, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়
দ্বিতীয় অধ্যায় : ব্রিটিশ শাসন- পিয়ারা আক্তার, প্রধান শিক্ষক, ফকিরেরপুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রমনা, ঢাকা
- ১৩ জুন ২০২৩, ০০:০৫
সুপ্রিয় পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বন্ধুরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। আজ তোমাদের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের ‘দ্বিতীয় অধ্যায় : ব্রিটিশ শাসন’ থেকে ৪টি যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করা হলো।
প্রশ্ন : পলাশীর যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের পাঁচটি কারণ উল্লেখ করো।
উত্তর : নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের কারণ :
i. সিংহাসনে আরোহণ করেই তরুণ নবাবকে নানা রকম ষড়যন্ত্র ও বিরোধী শক্তির মুখোমুখি হতে হয়।
ii. এক দিকে ছিল ইংরেজদের ক্রমবর্ধমান শক্তি, আর অন্য দিকে খালা ঘসেটি বেগম, সেনাপতি মীরজাফর আলী খানের মতো ঘনিষ্ঠজনদের ষড়যন্ত্র।
iii. রায় দুর্লভ এবং জগৎ শেঠের মতো প্রভাবশালী বণিক গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্র।
iv ইংরেজদের সাথে নবাববিরোধী শক্তিগুলোর একজোট হয়ে ষড়যন্ত্র করা।
v. পলাশীর যুদ্ধে সেনাপতি মীর জাফরের বিশ্বাসঘাতকতা।
প্রশ্ন : পলাশীর যুদ্ধের পাঁচটি ফলাফল লিখ।
উত্তর : পলাশীর যুদ্ধের ফলাফল নিচে দেয়া হলো :
i. পলাশীর যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলা পরাজিত হন ও পরে তাকে হত্যা করা হয়।
ii. এ যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলায় ইংরেজ শাসনের ভিত্তি স্থাপিত হয়।
iii. এ যুদ্ধের ফলাফল হিসেবে বাংলা স্বাধীনতা হারায়।
iv. এ যুদ্ধের ফলে ইংরেজরা বাংলাকে অর্থনৈতিকভাবে শোষণের সুযোগ পায়।
v. ইংরেজদের দুঃশাসনের ফলে বাংলায় চরম দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। ভয়াবহ এ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়ার পেছনে পলাশীর যুদ্ধ পরোক্ষভাবে দায়ী ছিল।
প্রশ্ন : বাংলায় ইংরেজ শাসনের পাঁচটি ইতিবাচক পরিবর্তন উল্লেখ করো।
উত্তর : বাংলায় ইংরেজ শাসনের ইতিবাচক পরিবর্তনগুলো নিচে দেয়া হলো :
i. ইংরেজদের মাধ্যমে এ দেশে আধুনিক শিক্ষার প্রচলন হয়। শিক্ষা বিস্তারে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
ii. রেলগাড়ি, টেলিগ্রাফের প্রচলনের ফলে যোগাযোগব্যবস্থার বিশেষ উন্নতি হয়।
iii. ছাপাখানার বিকাশে জ্ঞান বিস্তারের সুযোগ বাড়ে।
iv. নতুন চেতনার বিকাশ ঘটে। ফলে সমাজে প্রচলিত নানা কুসংস্কার, কুপ্রথা সম্পর্কে মানুষ সচেতন হয়ে ওঠে।
v. উনিশ শতকে বাংলায় নবজাগরণ ঘটে। যার ফলে বাংলায় সামাজিক সংস্কারসহ শিক্ষা, সাহিত্য ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের ব্যাপক প্রসার ঘটে।
প্রশ্ন : বাংলায় নবজাগরণের পাঁচটি ফলাফল উল্লেখ করো।
উত্তর : বাংলায় নবজাগরণের ফলাফল নিচে দেয়া হলো :
i. শিক্ষা বিস্তারে এ দেশে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
ii. নবজাগরণের ছোঁয়ায় বাংলা ভাষা ও সাহিত্য সমৃদ্ধ হয়।
iii. নবজাগরণের ফলে জনগণ সমাজে প্রচলিত নানা কুসংস্কার, কুপ্রথা সম্পর্কে সচেতন হয়ে ওঠে।
iv. ইংরেজদের শোষণের বিরুদ্ধে বাংলার মানুষ সচেতন হয়ে ওঠে ।
v. আধুনিক শিক্ষা ও নবজাগরণের ফলে মানুষের মধ্যে দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবোধ জাগ্রত হয়।