২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ভালো ফলাফলের ধারাবাহিকতায় সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ

-

সম্প্রতি প্রকাশিত এইচএসসির ফলাফল শুনে উচ্ছ্বাসে উদ্বেল হয়ে পড়ে রাজধানীর সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। প্রতি বছরের মতো এবারও ভালো ফলাফলের ধারাবাহিকতা অক্ষুণœ রেখেছে প্রতিষ্ঠানটির উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা। কলেজটির ৩৩২জন অংশগ্রহণকারীর সবাই কৃতকার্য হয়। অর্থাৎ শতভাগ পাস। তন্মধ্যে জিপিএ-৫ অর্জন করে ২৩০জন শিক্ষার্থী। সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাশের হার প্রতিবছরই ৮০ থেকে ৯০%। ভালো ফলাফল অর্জনের প্রতিক্রিয়ায় অধ্যক্ষ কর্নেল মো: শামসুল আলম পিএসসি (অব:) বলেন, বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় ভালো ফলাফল অর্জনের ব্যাপারটিতে গুরুত্বারোপের মাধ্যমেই মূলত আমাদের ধারাবাহিক এই অর্জন। এতে করে শুধু সনদধারী শিক্ষার্থীই নয়, মেধায় মননে সুযোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠছে তারা। ফলে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিযোগিতামূলক ভর্তি পরীক্ষায় আমাদের অনেক শিক্ষার্থী চান্স পাচ্ছে। বাংলা মাধ্যম, ইংরেজি ভার্ষণ ও ইংরেজি মাধ্যমের এই প্রতিষ্ঠানটিতে প্লে গ্রুপ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ানো হয়। ২০০২ সালে মাত্র ২০০ ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করে এখন প্রায় ২০ হাজার ছাত্র-ছাত্রী এখানে পড়ালেখা করছে। রাজধানীর মোট ছয়টি এলাকায় যথাক্রমে মালিবাগ, বারিধারা, বনানী, মিরপুর, উত্তরা ও ধোলাইপাড়ে নিজস্ব স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্য ও বিশেষত্ব নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে অন্যতম দেশসেরা এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রায় প্রতি বছরই সেরা ফলাফল করছে প্রতিষ্ঠানটি। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ও শিক্ষাদ্যোক্তা অধ্যক্ষ হামিদা আলী প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হিসেবে এটি পরিচালনা করেন এবং কর্ণফুলী শিপবিল্ডার্সের কর্ণধার বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিল্পপতি প্রকৌশলী এম এ রশিদ এর প্রতিষ্ঠাতা। ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠানটি ঢাকা শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি এবং উক্ত বছরেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় নবম স্থান লাভ করে। ২০১৯ সালে প্রকাশিত মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে রাজধানীর ‘সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ’ বরাবরের মতোই ভালো ফলাফল করে। ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের তথ্য অনুযায়ী সম্মিলিত মেধাতালিকায় ঢাকা মহানগরে শতভাগ পাসের ভিত্তিতে সাউথ পয়েন্টের স্থান ছিল ষষ্ঠ। ওই বছর পরীক্ষায় সাউথ পয়েন্টের ৪৫২ জন অংশগ্রহণকারীর সবাই পাস করে এবং জিপিএ-৫ পায় ২৯৬ জন। বাংলা মাধ্যমে মোট ২৭৬ জন অংশগ্রহণকারীর সবাই পাস করে এবং জিপিএ-৫ পায় ১৫৯ জন। ওই বছর ইংরেজি ভার্সনে পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৭৬ জন, তন্মধ্যে শতভাগ পাসসহ জিপিএ-৫ পায় ১৩৭ জন শিক্ষার্থী। অন্যদিকে বারিধারা থেকে ১৩৪ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে জিপিএ-৫ পায় ১০০ জন এবং অবশিষ্ট সবাই ৪.৫ গ্রেডসহ ‘এ’ পায়। অর্থাৎ জিপিএ-৪.৫ এর নিচে কোনো গ্রেড ছিল না। এই শাখার ইংলিশ ভার্সন ও বিজ্ঞান বিভাগের ফলাফলও রীতিমতো ঈর্ষণীয়ই বলতে হয়। ভার্সনে বিজ্ঞান বিভাগের ৩৬ শিক্ষার্থীর সবাই জিপিএ-৫ পায়। এই বিভাগের ১০৬ জন অংশগ্রহণকারীর ৯৫ জনই জিপিএ-৫ পায় সে বছর। মালিবাগ শাখার শিক্ষার্থীরাও ওই বছর ভালো করেছিল। তাদের ২৪৮ অংশগ্রহণকারীর ১৭৬ জনই জিপিএ-৫ এবং ইংলিশ ভার্সনে বিজ্ঞান শাখার ৯৭ অংশগ্রহণকারীর ৮৬ জনই জিপিএ-৫ পায়।


আরো সংবাদ



premium cement
শ্রীনগরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু ভান্ডারিয়ায় জামায়াতের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত ট্রাকচাপায় ফায়ার ফাইটার নিহতের ঘটনায় মামলা ইরানের কাছে ৩০০ বিলিয়ন ক্ষতিপূরণ দাবি করল সিরিয়ার নতুন সরকার সচিবালয়ে আগুন : ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ৩ মন্ত্রণালয়ের কমিটি নিহত ফায়ার ফাইটার নয়নের পরিবারে শোকের মাতম এক কার্গো এলএনজি ও এক লাখ ৩০ হাজার টন সার কিনবে সরকার জনতা ও অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক পরিচালক বলরাম পোদ্দার কারাগারে ছুরিকাঘাতে গাজীপুর মহানগর জামায়াত সেক্রেটারি আহত কুলাউড়ায় নিষিদ্ধ পলিথিন রাখায় ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা সরকারি কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী দাখিলের সময় বাড়ল

সকল