গোয়াইনঘাটের অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা, আটক ১
- জৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধি
- ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২১:২০
স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবৈধভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেহপুর বাজারে অবস্থিত ইউনাইটেড মেটারনিটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এবার উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দিয়েছে। পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ইসলাম আলীকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় গোয়াইনঘাট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাঈদুল ইসলাম এ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে সাথে ছিলেন গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তদন্তকারী দুই কর্মকর্তা জুনিয়র কনসালটেন্ট (এনেস্থিসিয়া) ডাক্তার মিজানুর রহমান মামুন ও জুনিয়র কনসালটেন্ট গাইনী (অব) ডাক্তার সবিনা আক্তার।
জানা গেছে, বুধবার দুপুরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাঈদুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় ইউনাইটেড মেটারনিটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিভিন্ন কাগজপত্র যাচাই করেন তিনি। কিন্তু ডায়াগনস্টিক সেন্টার অনুমোদনের কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কোনো নার্স নেই। মূলত ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ইসলাম আলী ও তার স্ত্রী সানজিদা আক্তারকে দিয়ে অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে এটি পরিচালনা করে আসছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাঈদুল ইসলাম বলেন, ইউনাইটেড মেটারনিটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামের প্রতিষ্ঠানটি অনোমদনহীন থাকায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু জরিমানা আদায়ে অস্বীকৃতি জানালে প্রতিষ্ঠানের মালিক ইসলাম আলীকে গ্রেফতার করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রশাসক ডাক্তার কিশলয় সাহা জানান, গত ১৫ তারিখের পর থেকে অদ্যাবদি একেকটি করে চারটি নবজাতক মৃত্যুর ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাউর হওয়ার পরে দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি সরেজমিন তদন্তকালে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কোনো বৈধতা না থাকায় প্রতিষ্ঠান সিলগালা এবং প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত থাকায় ইসলাম আলী নামের একজনকে উপজেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযানে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরো জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক রমজান আলী গোয়াইনঘাট থানায় একটি মামলা করেন।
এদিকে, উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ইসলাম আলীকে গ্রেফতারের পর ভুক্তভোগী ওই চার পরিবারের পক্ষ থেকে গোয়াইনঘাট থানায় চারটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা