২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

নিহত কিশোরীর লাশ ফেরত দেয়নি ভারত, দু’দেশের বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠক

নিহত কিশোরীর লাশ ফেরত দেয়নি ভারত, দু’দেশের বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠক - সংগৃহীত

কুলাউড়ার লালারচক সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে স্বর্ণা দাস (১৬) নামের এক কিশোরী নিহত হয়েছে। নিহত কিশোরীর লাশ ফেরত আনার বিষয়ে বিএসএফ-বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার পযার্য়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত কিশোরীর লাশ ফেরত দেয়নি ভারত। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় বিজিবির শ্রীমঙ্গল সেক্টর কমান্ডার লে. কর্নেল মিজানুর রহমান শিকদার নয়া দিগন্তকে জানান, সোমবার বিকেলে লালারচক সীমান্তে বিএসএফ-বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার পযার্য়ের পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। লাশ ফেরত আনার কথা চলছে এবং পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার রাতে বিএসএফ -এর গুলিতে কিশোরী মারা যাওয়ার পর সোমবার বিকেল পর্যন্ত লাশ উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের লালারচক সীমান্তে পড়েছিল। পরে বিএসএফ লাশ নিয়ে যায়।

নিহত স্বর্ণা জুড়ী উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের কালনীগড় গ্রামের বাসিন্দা পরেন্দ্র দাসের মেয়ে। সে স্থানীয় নিরোদ বিহারী উচ্চবিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত।

স্বর্ণার বাবা পরেন্দ্র দাস ও মা সঞ্জিতা রানী দাস বলেন, তাদের চার ছেলে-মেয়ে। এক ছেলে দীর্ঘদিন ধরে ভারতের ত্রিপুরায় থাকেন। ছেলেকে দেখতে সঞ্জিতা ছোট মেয়ে স্বর্ণাকে সাথে নিয়ে গতকাল রাতে স্থানীয় দুই দালালের সহযোগিতায় লালারচক সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা চালান। এ সময় তাদের সাথে চট্টগ্রামের এক দম্পতিও ছিলেন। রাত ৯টার দিকে ভারতের কাঁটাতারের বেড়ার কাছে পৌঁছালে বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে স্বর্ণা ঘটনাস্থলে মারা যায়। তাদের সাথে থাকা দম্পতিও আহত হন। গুলি থামার পর সঞ্জিতাসহ বাকিরা লালারচক গ্রামের একটি বাড়িতে ঢুকে আশ্রয় নেন। পরে আহত দম্পতিকে চিকিৎসার জন্য সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।


আরো সংবাদ



premium cement