২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ঢাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত শ্রমিক সোহাগের পরিবারে জামায়াতের আর্থিক অনুদান

- ছবি : নয়া দিগন্ত

ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে ঢাকায় নিহত শ্রমিক সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার সোহাগ মিয়ার পরিবারকে আর্থিক অনুদান প্রদান করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

সোমবার শেষ বিকেলে জামালগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাহাপুর গ্রামে নিহত সোহাগের পরিবারের খোঁজখবর নিতে আসেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলার নেতৃবৃন্দ।

এ সময় সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জামালগঞ্জ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মো: হাবিবুর রহমান।

এছাড়া জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি, অ্যাডভোকেট নুরুল আলমের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, মজলিসে মোফাসেরিনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আ: ছালাম আল-মাদানী, জামায়াতের সুনামগঞ্জ জেলা আমির উপাধক্ষ্য মাও: তোফায়েল আহমেদ খান, জেলা জামায়াতের নায়বে আমির মো: আব্দুল্লাহ, অ্যাডভোকেট শামসুদ্দিন, জেলা জামায়াতের সেক্রটারি মমতাজুল হাসান আবেদ, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম।

জামালগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো: ফখরুল ইসলাম চৌধুরী, দলীয় নেতা আ: মুহিত, খাইরুল কবীর চৌধুরী এসদোহা, সাইফুল ইসলাম, মোশায়েল আহম্মদ, আকিকুল হক প্রমুখ ও এলাকার গণ্যমান্যব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন, জামায়াতে ইসলামী সব সময় শান্তিতে বিশ্বাসী। দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। অতীতে জামায়াতে ইসলামীর সম্পর্কে অনেক বিভ্রান্ত ছড়ানো হয়েছে। বিগত ১৫ বছরের অবৈধ স্বৈরাচারী সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে জামায়াতে ইসলামী দলকে নিষিদ্ধ করার আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। যারা অন্যায় জুলুম ও মানুষের ওপর অত্যাচার নির্যাতন নিপীড়ন করে তাদের ওপর আল্লাহর পক্ষ থেকেই গজব নেমে আসে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সকলকেই বীর যোদ্ধা হিসেবে আখ্যায়িত করে তারা বলেন, আগস্ট মাসের ৫ তারিখে আল্লাহর পক্ষ থেকে ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে এদেশের ছাত্র জনতার ঐক্যে জুলুমবাজ আওয়ামী লীগের সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে। দীর্ঘ শতশত বছরেও এমন ইতিহাস বাংলার বুকে নেই। যারা জুলুমকারী তাদের পলায়ন এভাবেই নিশ্চিত হয়।

তারা বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় ফ্যাসিবাদী কাঠামো ব্যবহার করে পরিকল্পিত হত্যা, গুম, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ব্যাংক ডাকাতি ও লুটপাটের সাথে জড়িত থেকে দেশকে ঋণের জলে আবদ্ধ করেছে। তারা সব সময় সনাতন ধর্মালম্বীদের সংখ্যালঘু বলে বিভিন্ন উস্কানি দিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করেছে। এবারো তারা এই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ব্যবহার করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির পায়তারা করে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা সনাতন ধর্মাবলম্বী ভাই-বোনদের ধর্মীয় উপাসনালয় ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পাহারা দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিতের সহায়তা করেছি।

পরে নিহতের পরিবারের হাতে আর্থিক অনুদান তুলে দেন নেতৃবৃন্দ। এর আগে, মধন্যনগর উপজেলায় দুপরে একটি পরিবারেও আর্থিক অনুদান প্রদান করেন তারা।


আরো সংবাদ



premium cement