২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

হবিগঞ্জের সব থানার পুলিশ পোশাক খুলে নিজ নিজ হেফাজতে

হবিগঞ্জের সবথানার পুলিশ পোশাক খুলে নিজ নিজ হেফাজতে - ছবি : নয়া দিগন্ত

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে হবিগঞ্জের নয়টি থানাসহ প্রত্যেকটি পুলিশ ফাড়ির পুলিশ সদস্যরা পোশাক খুলে নিজ নিজ হেফাজতে চলে গেছেন।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কনস্টেবল এ প্রতিবেদককে এ তথ্য জানান।

তিনি জানিয়েছেন, স্যাররা আমাদেরকে পোশাক খুলে নিজ নিজ হেফাজতে চলে যেতে বলেছেন। আমরা পোশাক খুলে ফেলেছি, চলে যাচ্ছি।

কোথায় যাবেন জানতে চাইলে ওই পুলিশ সদস্য জানান, এখনো নিশ্চিত নই, তবে বাড়িতে (সিলেটে) যাওয়ার ইচ্ছা আছে। কিন্তু কিভাবে যাব সেটাই বিষয়। সাথে থাকা ব্যাগে পুলিশের কোনো পরিচয়পত্র কিংবা অন্য কিছু না রাখতেও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন বলে জানান ওই পুলিশ সদস্য।

হবিগঞ্জ সদর থানায় গিয়ে দেখা গেছে মূল ফটকে তালা ঝুলানো। ভেতরে কয়েকটি মোটরসাইকেল রয়েছে। তবে থানার ভেতরে কোনো পুলিশ নেই। এমনকি থানার ভেতরে বিদ্যুৎ জ্বালানোর মতোও কোনো লোক নেই।

সন্ধ্যার পর হবিগঞ্জ সদর থানা, মাধবপুর থানা, পুলিশ কন্ট্রোল রুম, পুলিশ লাইনসের আরআইয়ের মোবাইলে কল করলে কোনো কোনো মোবাইলের অপর প্রান্ত থেকে ‘এই মোবাইলটি এখন আর ব্যবহৃত হচ্ছে না’ বলে অটো সাউন্ড শুনা যায়।

সকালে হবিগঞ্জের দায়রা আদালত, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গিয়ে দেখা যায় সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কোনো পুলিশ নেই। এই অবস্থায় আদালত বসবে কি না দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েন। কারণ অনেক মামলার সাথে পুলিশের সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে।
হবিগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোছাব্বির বকুল, বিএনপিপন্থী আইনজীবী মো: আব্দুল হাই, নুরুল ইসলাম, আফজাল হোসেনসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: হারুন-অর-রশিদের এজলাসে গিয়ে জানান, তারা কোর্ট প্রাঙ্গনে পুলিশের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখবেন। পরে কোটা আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত কয়েকটি মামলা শুনানী শেষে আদালত তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল