হবিগঞ্জে গুলিতে নিহত ৭
- এম এ মজিদ, হবিগঞ্জ
- ০৫ আগস্ট ২০২৪, ১৮:৫৩, আপডেট: ০৫ আগস্ট ২০২৪, ১৮:৫৭
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচংয়ে গুলিতে সাতজন নিহত হয়েছে।
সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে নেয়া হয়েছে।
নিহতরা হলেন বানিয়াচং উপজেলার যাত্রাপামা গ্রামের শানু মিয়ার ছেলে হাসান মিয়া (১২), মাইজের মহল্লা গ্রামের আব্দুন নুরের ছেলে আশরাফুল মিয়া (১৭), জাতুকর্ণপাড়া গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে নয়ন মিয়া (১৮), কামালখানী গ্রামের নয়ন মিয়া (১৮), পুর্বপাড় গ্রামের ধনাই উল্লাহর ছেলে সাদিকুর রহমান (৩০) এবং পাড়াগাও গ্রামের শমসের মিয়ার ছেলে মোজাক্কির মিয়া (৪০)।
স্থানীয়রা জানায়, সোমবার সকালের দিকে আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান হায়দারুজ্জামান ধন মিয়া, ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা জয়নার মিয়ার নেতৃত্বে বানিয়াচং উপজেলা সদরে একটি শো ডাউন করা হয়। এ সময় আন্দোলনকারীদের সাথে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটে। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা থানায় হামলা করলে পুলিশ গুলি ছুড়তে থাকে। গুলিতে উল্লিখিত ছয়জন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত হয় শতাধিক। আন্দোলনকারীরা থানায় ভাঙচুর করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। উত্তেজিত জনতা হায়দারুজ্জামান ধন মিয়ার বাড়িও আগুনে পুড়িয়ে দেয়।
আন্দোলনকারীদের সাড়ে ৬ ঘণ্টা অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে সেনাবাহিনীর একটি দল হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও হবিগঞ্জ সদর আসনের এমপি মো: আবু জাহিরকে তার হবিগঞ্জ শহরের বাসা থেকে উদ্ধার করে সার্কিট হাউজে নিয়ে যায়। এর আগে, আবু জাহিরের বাসার সামনে গুলিতে রিপন শীল নামের এক যুবক নিহত হন। পরে নিজের হেফাজতে যান আবু জাহির। উত্তেজিত জনতা আবু জাহিরের বাসার সকল আসবাবপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। সোমবার বিকেলে বৃষ্টিতে ভিজে হাজার হাজার জনতা হবিগঞ্জের রাস্তায় বিজয় মিছিল করে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা